স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে হুমকি, মূল আসামি পালিয়েছে বিদেশে

আসামি ধরে না চকরিয়া থানার পুলিশ

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নবম শ্রেণির এক কিশোরীকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার প্রধান আসামি এরই মধ্যে বিদেশে পালিয়েছে। অন্য আসামিদেরও ধরছে না পুলিশ। এতে কিশোরীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মধ্য কৈয়ারবিল গ্রামের ওই ঘটনায় আসামিরা হলেন শহিদুল ইসলাম (২৪), তার বাবা আবুল কালাম (৫৪), বড় ভাই আবু তালেব (৩০) ও বোন তাজরিয়ান জন্নাত বুলু (২২)।

ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়ার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে গত মাসের ১৯ জুলাই সকালে অপহরণ করে শহিদুলসহ কয়েকজন। পরে অজ্ঞাত স্থানে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ওই কিশোরীকে শহিদুলের তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তাজরিয়ান জন্নাত বুলুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং অপহরণ আইনে গত ৮ আগস্ট ওই কিশোরীর বাবার করা মামলায় বুলুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে মামলা তুলে নিতে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে কিশোরীর পরিবারকে চাপ দিচ্ছেন আসামিরা। মামলা তুলে না দিলে মামলার বাদিকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দেন তারা। আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরলেও বুধবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বাদি ও ওই কিশোরী বলেন, ‘আসামিরা এলাকায় ঘুরছেন। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছে না। এরমধ্যে মামলার প্রধান আসামি বিদেশে পালিয়ে গেছেন। মামলা তুলে নিতে আবুল কালাম ও তার ছেলে আবু তালেব প্রভাবশালীদের দিয়ে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

এ বিষয়ে আবু তালেব বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। হুমকি দিচ্ছি বিষয়টিও সত্য নয়।’

চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বাদিপক্ষ হুমকির বিষয়টি আমাকে জানাননি। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হবে।’

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘বাদিকে হুমকির বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। বাদির নিরাপত্তা ও আসামি ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!