সাইবার মামলা থেকে দায়মুক্ত হলেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনের দুই সাংবাদিক

দুই দফা তদন্তেও নির্দোষ প্রমাণিত

সাইবার মামলার দায় থেকে মুক্তি পেলেন দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক জাহাঙ্গীর শুভ ও বিশ্বজিৎ শর্মা। চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীর দায়ের করা এই মামলাটি খারিজের আদেশ দিয়েছেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক।

দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের জেরে জিইসি মোড় সেন্ট্রাল প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি খারিজ করেছেন আদালত। মামলা চলাকালীন পুলিশের দুটি বিশেষায়িত ইউনিটকে দিয়ে তদন্তের পর এই আদেশ দেন আদালত।

গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের ঘোষিত রায়ে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক জাহাঙ্গীর শুভ ও বিশ্বজিৎ শর্মা, চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল প্লাজার স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ পানাউল্লাহ চৌধুরী এবং এরশাদ উল্লাহ চৌধুরী টিটুসহ মোট চারজনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, বিবাদিদের বিরুদ্ধে আভিযোগকারীর আনীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ২৫(১) ক/ ২৫(৩)/২৯/৩৫ ধারায় আভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের নভেম্বরে ‘ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সেন্ট্রাল প্লাজা মালিকের সই জাল, প্রতারণার মামলা খেলো ব্যবসায়ী নেতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে চট্টগ্রাম প্রতিদিন। সংবাদে সেন্ট্রাল প্লাজা দোকান মালিক সমিতির নেতা ওই মার্কেটের একাংশের মালিকের সই নকল করে একটি কোম্পানিকে গুদাম ভাড়া দেন, এর পক্ষে একাধিক প্রমাণ চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে থাকা শর্তে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়।

সংবাদ প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ হয়ে হয়রানির উদ্দেশ্যে প্রতিবেদক বিশ্বজিৎ শর্মা ও আরেক প্রতিবেদক জাহাঙ্গীর শুভসহ আরও দুজনকে মামলার আসামি করে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোস্তাক।

সেসময় মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের বিশেষায়িত কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দীর্ঘ তদন্তের পর মোস্তাকের করা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি জানিয়ে আদালতে ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল মামলাটির তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. হেলাল উদ্দিন।

এরপর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তদন্ত রিপোর্টে নারাজি জানিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন জানান বাদি মোস্তাক। আদালত বাদির আবেদন আমলে নিয়ে ফের তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

দীর্ঘ তদন্তের পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবীর বাদির অভিযোগের সত্যতা পায়নি বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

পিবিআইয়ের তদন্ত রিপোর্টেও মোস্তাক আবারো পুনঃতদন্ত প্রতিবেদনেও বাদি নারাজি আবেদন জানান। আদালতে বাদির আবেদন খারিজ করে মামলাটি নথিজাতের আদেশ দেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!