চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মো. সোহেল রানা বিশ্বাস। দীর্ঘদিন চাকুরিকালীন সময়ে কারাগারের বিভিন্ন উৎস থেকে অনিয়মের আশ্রয় বানিয়েছেন অঢেল সম্পদের। তার বিরুদ্ধে প্রায় তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ উপপরিচালক আবু সাঈদ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্ত মো. সোহেল রানা বিশ্বাস ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার পোড়া কান্দুলিয়া গ্রামের মো. জিন্নাত আলী পুত্র। তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মো. সোহেল রানা বিশ্বাসের দুদকের নিকট তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময় ৪০ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ টাকা গোপন করেন। একই সঙ্গে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে অবৈধপথে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২ কোটি ৩৩ লাখ ২৩৫ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক মো. আবু সাঈদ।
এর আগে, ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেসের একটি বগি থেকে সোহেল রানাকে একটি ব্যাগসহ আটক করে রেল পুলিশ। এসময় তার ব্যাগে তল্লাশি করে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার তিনটি এফডিআরের কাগজ, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার তিনটি ব্যাংক চেক, পাঁচটি চেক বই ও ১২ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা পুলিশকে বলেছিলেন, ওই টাকার মধ্যে ৫ লাখ তার নিজের, বাকি টাকা অন্যদের। পরে তার বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন রেল পুলিশের উপপরিদর্শক আশরাফ। পরবর্তীতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলাটি তদন্ত করে দুদক।
মুআ/এমএহক