চসিক/ শেষ সময়ে এসে মেয়রের মুখে এবার ১৭ উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা

মেয়র হিসেবে দায়িত্বপালনের শেষ বছরে এসে এয়ারপোর্ট রোড সম্প্রসারণসহ ১৭টি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের (টিআইসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চসিকের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এই তথ্য জানান।

চসিকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় এক নম্বরে আছে ‘আধুনিক নগর ভবন নির্মাণ’। এ সম্পর্কে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ‘তিন বারের সফল মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী শুরু করেও নতুন নগর ভবন নির্মাণ করতে পারেননি। পরের পাঁচ বছরের মেয়রও পারেননি। পুরাতন ভবনে দৈনন্দিন কাজ চালানো সম্ভব নয়। বিকল্পও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নির্মাণাধীন ভবন সংস্কার করে শিফট করেছি। নগর ভবন নির্মাণে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

দুই নম্বরে আছে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন স্মার্ট সিটি প্রকল্প।’ এ সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘এই প্রকল্পটিও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

তিন নম্বরে আছে, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এয়ারপোর্ট রোড সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনির্মাণ’। এ সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘এয়ারপোর্ট রোড কোথাও এক লেইন আবার কোথাও দুই লেইন। এই রোডটি ইউনিফাইডে চার লেইনে উন্নীত করার জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’

চসিকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় চার নম্বরে আছে, ‘সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ।’

পাঁচ নম্বরে আছে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীতে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে মেট্রোরেল চালু।’ এ সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘যানজট নিরসনের সর্বশেষ কনসেপ্ট মেট্রোরেল। গণপরিবহন উন্নত করতে না পারলে যানজট বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা থেকে যাবে। মেট্রোরেল চালুতে প্রকল্প গ্রহণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

ছয় নম্বরে রয়েছে মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশমতে প্রস্তাবিত নতুন সড়ক নির্মাণ।

সাত নম্বরে রয়েছে, ফিরিঙ্গী বাজার হতে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাথে চট্টগ্রাম শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।

চসিকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় পর্যায়ক্রমে রয়েছে, মুরাদপুর, ঝাউতলা, অক্সিজেন ও আকবর শাহ রেলক্রসিং-এর ওভারপাস নির্মাণ; ঢাকামুখী ও হাটহাজারীমুখী বাস টার্মিনাল নির্মাণ; কনটেইনার ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ; নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ওভারপাস/আন্ডারপাস নির্মাণ; সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জায়গায় বহুমুখী ভবনসহ আয়বর্ধক স্থাপনা নির্মাণ; নগরীর কাঁচা বাজারগুলিকে আধুনিকায়ন, বাকলিয়া সিটি করপোরেশনের জায়গায় স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ; ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ, শিশু পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, মিলনায়তন, ব্যায়ামাগার ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ; চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আধুনিক কনভেনশন হল নির্মাণ এবং নগরীতে জোনভিত্তিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট নির্মাণ।

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!