পুরনো বিরোধ/ প্রিমিয়ার চসিকের, তাই ট্যাক্স নেই—দাবি আ জ ম নাছিরের

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত বিদ্যাপীঠ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বিধায় এর ওপর গৃহকর ধার্য করা হয় না বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের (টিআইসি) মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চসিকের বাজেট অধিবেশনে মেয়র এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ওই সমাবর্তনে সিটি করপোরেশনের কোন অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়নি। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন না সিটি করপোরেশনের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী।

বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চসিকের বাজেট অধিবেশনে আ জ ম নাছির বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব মহিউদ্দিন চৌধুরী যখন মেয়র ছিলেন, উনি যখন বাজেট দিয়েছিলেন, তখন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কাদের উল্লেখ করেছিলেন? এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে যারা বাজেট দিয়েছিলেন, সবগুলোতে সিটি করপোরেশনের। সেখানে মনোগ্রামও সিটি করপোরেশনের। আপনারা তো সাক্ষী। যেহেতু সাবজুডিস ম্যাটার, এটা নিয়ে আমরা আর বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না।’

এ সময় মেয়র আরও বলেন, ‘যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি আমরা ধারাবাহিকভাবে পেয়েছি এবং এই নগরে সে সমস্ত স্থাপনা আছে, যে করুক, ব্যক্তির হোক প্রতিষ্ঠানের হোক, সরকারি বিধিবদ্ধ আইন হলো প্রত্যেককে ট্যাক্স প্রদান করতে হবে। সিএমপি কমিশনার যে ভবনে বসেন, সে ভবনের ট্যাক্স প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক যে ভবনে বসেন, ওই ভবনেরও ট্যাক্স প্রদান করেন। বিভাগীয় কমিশনার যে ভবনে বসেন, সেই ভবনের ট্যাক্স প্রদান করেন। ডিআইজি যে ভবনে বসেন, সেই ভবনের ট্যাক্স প্রদান করেন। সরকারি সব কর্মকর্তা যে ভবনে বসে কাজ সম্পাদন করেন, সেই ভবনের ট্যাক্স প্রদান করেন। এটা হলো রাষ্ট্রের আইন।

তিনি বলেন, ‘একমাত্র প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি যে ভবনে পরিচালিত হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সে ভবনের এক পাইও ট্যাক্সও সিটি করপোরেশন আজ অবধি নেয়নি। কী কারণে? এটা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিধায় ট্যাক্স ধার্য্য করেনি, ট্যাক্স গ্রহণ করেনি।’

অনুষ্ঠানে দায়িত্ব গ্রহণের পর গত চার বছরের সফলতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মেয়র বলেন, ‘সফলতা বিচারের ভার নগরবাসীর। আমাদের অর্পিত দায়িত্ব আমরা আন্তরিকতার সাথে পালন করার চেষ্টা করেছি।’

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘এক বা একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না। এটি একটি প্রক্রিয়া। যা সবসময় চলমান রাখতে হবে।’

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও সংস্থাপন কমিটির সভাপতি ও ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়াড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণ, ২০ নম্বর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জোবাইরা নার্গিস খান, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!