নবম শ্রেণির ছাত্রীটি যখন শিক্ষকের কাছে ‘প্রাইভেট’ পড়তে যেতেন, পথে ওঁৎ পেতে থাকতেন ১৯ বছর বয়সী এক বখাটে। নিত্যদিনই তার চলতো ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে। বারবার প্রত্যাখ্যাত হতে হতে শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরী ছাত্রীকে অপহরণ করে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে যান কুমিল্লায়।
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার লালখানবাজার পোড়া কলোনি এলাকায় রোববার (২৫ জুলাই) অপহরণের এই ঘটনা ঘটে। এরপর মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুমিল্লার মুরাদনগর থানার কাজীয়াতল এলাকা থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরী ছাত্রীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণকারী সেই তরুণকেও।
গ্রেপ্তার হওয়া আল আমিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর থানা কাজীয়াতল এলাকায়। চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার লালখানবাজার পোড়া কলোনি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের শিকার কিশোরী এবং অপহরণকারী দুজনেই খুলশী থানার লালখানবাজার এলাকার বাসিন্দা। অপহৃত কিশোরী লালখানবাজার শহীদনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। স্কুল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ওই ছাত্রী পোড়া কলোনি এলাকার এক শিক্ষকের কাছে ‘প্রাইভেট’ পড়তে যায়। পথে তাকে প্রতিদিনই প্রেমের প্রস্তাব দিতেন আল আমিন। কিন্তু প্রতিবারই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ওই ছাত্রী।
বারবার প্রত্যাখ্যাত হতে হতে শেষ পর্যন্ত রোববার (২৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে কিশোরীকে অপহরণ করে একটি ট্যাক্সিযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান ওই তরুণ। প্রাইভেট শেষে তখন বাসায় ফিরছিল ছাত্রীটি।
কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ কুমিল্লা জেলায় আল আমিনের অবস্থান শনাক্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায়। এরপর মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোরে কুমিল্লার মুরাদনগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি অপহৃত কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়।