চট্টগ্রামে জাহাজের তেল চুরির বড় চক্র, বিক্রি হয় ভিআইপি রোডে
চুরি হয় বড় থেকে ছোট ট্যাংকারে তোলার সময়ই
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা বিভিন্ন বড় ট্যাংকার থেকে তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন শোধনাগারে পাঠানোর জন্য ছোট ট্যাংকারে তোলার সময়ই চুরি হয় তেল। এরপর সেই বিক্রি করে দেওয়া হয় বাইরের বাজারে। দীর্ঘদিন ধরেই এমন বেশ কয়েকটি চক্র এই কাজের সঙ্গে জড়িত। এবার সেরকম একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করলো র্যাব।
সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় শাহ আমানত বিমানবন্দর সড়ক থেকে ২ হাজার লিটার চোরাই ডিজেল ও অকটেন দুজনকে আটক করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন মিন্টু বড়ুয়া (৩০) ও মো. শওকত (৩৬)। চোরাই তেল কেনাবেচার সময় তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর মধ্যে মিন্টু তেল বিক্রি করার উদ্দেশ্যে এবং শওকত কেনার উদ্দেশ্যে সেখানে অবস্থান করছিল।
র্যাব-৭ এর উপ-পরিচালক মেজর মুশফিকুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেজর মুশফিকুর রহমান বলেন, বিমানবন্দরের কাছে ভিআইপি সড়কে বিভিন্ন ট্রাক স্ট্যান্ডের পাশে চোরাই তেল বেচাকেনা হয়। সাধারণ সময়ে বিষয়টি বোঝা যায় না। লকডাউনে তেল আনা নেওয়ার ঘটনা বুঝতে পেরেই সেখানে অভিযান চালায় র্যাব।
চক্রটির তেল চুরি করে মজুদ করা ও পরে বিক্রি করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, বহির্নোঙরে থাকা বিভিন্ন বড় ট্যাংকার থেকে তেল খালাস করে পতেঙ্গার বিভিন্ন শোধনাগারে পাঠানোর জন্য ছোট ট্যাংকারে তোলার সময় তেল চুরি হয়। আবার কোনো কোনা সময় শোধনাগার থেকে তেল নিয়ে যাওয়ার পথে ট্রাক থেকেও চুরি যায়। এভাবে চুরি করা তেল ওই এলাকায় মজুদ করে পরে সেখান থেকে বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করা হয় এসব তেল।
এআরটি/সিপি