রেল পূর্বাঞ্চলের ১০৯ প্লট চার বছর ধরে বেদখল, গ্রাহকদের অভিযোগ দুদকে

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের লাকসামে চার বছর ধরে ঝুলে আছে ১০৯টি প্লট হস্তান্তর প্রক্রিয়া। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লিজ নেওয়া প্লট মালিকরা। প্রতিবছর খাজনা পরিশোধ করলেও এখনও তারা প্লট বুঝে পায়নি। এই প্লট মালিকদের সাতজন এবার দ্বারস্থ হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে এই অভিযোগ করা হয়।

তবে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বিভাগীয় ভূসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ দখলদাররা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছে। ফলে লিজ নেওয়া প্লট গ্রহীতাদের বুঝিয়ে দিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের লাকসাম রেল স্টেশনের পাশে বাণিজ্যিক ১০৯টি প্লট লিজ দিতে দরপত্র আহ্বান করে বিভাগীয় ভূসম্পদ দপ্তর। ওই সময় এসব প্লট অবৈধ দখলদারদের আয়ত্তে ছিল। কিন্তু রেল এসব জায়গা থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ না করেই টেন্ডার আহ্বান করে।

এদিকে উচ্ছেদ থেকে বাঁচতে দখলদাররা ৩২টি প্লটের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করে। আদালত শুনানি শেষে ৩২ প্লটে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু অন্য ৭৭টি প্লটে হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা না দিলেও এই বিষয়ে রেলওয়ে পূর্ব ভূসম্পদ বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে এসব প্লটেও অবৈধ দখলদাররা ধীরে ধীরে স্থাপনা নির্মাণ করে আয়ত্তে নেয়।

রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের মতে, এসব প্লট থেকে খাজনা বাবদ রেলের রাজস্বে যুক্ত হতো বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা। সেই হিসেবে চার বছরে হাতছাড়া হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।

দুদকে অভিযোগকারীদের একজন কায়কোবাদ বলেন, ‘এই প্লট সর্বোচ্চ দর দিয়ে নিয়ে, সকল টাকা পরিশোধ করে চার বছরেও বুঝে পাইনি। এজন্য আমরা দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই সমস্যা আমার আগে এই পদে থাকা কোনো কর্মকর্তা সমাধান করেননি কেন, সেটা বোধগম্য নয়। তবুও আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!