রেজাউলই মেয়রপ্রার্থী, শেষমেশ কবুল করে নিলেন সুজন

স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে রেজাউল করিমকে সরিয়ে নিজেই মেয়র পদে মনোনয়ন আশা করছেন— রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কথা ছড়িয়ে পড়ার পর শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

‘মনোনয়ন আশা করাটাই দলনেত্রীর শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি অবজ্ঞা’— কোনো কোনো নেতা রটনার জবাবে আড়ালে এমন কথা বললেও চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সেসব কথার পিঠে এবার জানিয়ে দিয়েছেন, চসিক নির্বাচনে তিনি নন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীই থাকছেন।

সোমবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক পুলিন দের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীর উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন সুজন।

এমন এক সময় সুজন এই বিষয়ে কথা বললেন, যখন স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচন নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নানা মেরুকরণের দোলাচল চলছে।

সুজন অবশ্য এসব সমালোচনা সৃষ্টির জন্য মিডিয়াকে দায়ী করে বলেন, ‘এই চট্টগ্রামে এখন আড়াইশটা অনলাইন মিডিয়া। এর মধ্যে দেড়শটা অনলাইন টিভি। কিচ্ছু লাগে না, মোবাইল একটা পকেটে থাকলে হয়। একেকদিন একেকজন একেক কথা লিখে। কোথাও কোথাও নাকি লিখেছে আমি মেয়র পদে আগ্রহী।’

করোনার কারণে স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউলকে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ। গত ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ রেখে তফসিল দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু মহামারীর কারণে সপ্তাহখানেক আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়।

পরে গত মেয়াদের নির্বাচিত চসিক পরিষদ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় গত ৪ আগস্ট এর প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজনকে।

এর পরপরই নগরের রাজনীতিতে সুজনের সাথে রেজাউলের দূরত্ব সৃষ্টির গুঞ্জন শুরু হয়। নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই এই দূরত্ব সৃষ্টির পেছনে সুজনের ভূমিকাই বেশি দেখছেন। মাঠে হঠাৎ চাউর হয় স্থগিত হওয়া নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কেউ কেউ ভাবছেন। তেমনটি হলে সুজন নতুন করে মনোনয়ন চাইবেন। এর মধ্যে রেজাউলকে নিয়ে ইউনিট পর্যায়ে সাংগঠনিক সভা আরম্ভ করে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন। এসব কর্মসূচিতে সুজনকে অংশ নিতে দেখা যায়নি।

অধ্যাপক পুলিন দে স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এই স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা একেএম বেলায়েত হোসেন, সহ-সভাপতি সুনীল সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সুনীল সরকার, জাসদ নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশীষ গুহ বুলবুল, শেখ ইফতেখার সাইমুল, মশিউর রহমান চৌধুরী ও চন্দন ধর।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!