রাঙামাটিতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পানিতে ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রাঙামাটি শহরে বিজিবি রোড এলাকায় খেলতে গিয়ে দু’জন এবং কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) শহরের পর্যটন বিজিবি রোড আমিনা পাহাড় এলাকায় গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় দুই বন্ধু। নিহতরা হলো মাহিদুর রহমান মুহিত (১২) ও আহনাফ সাদিব ইনাম (১২)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২২ জুন) বিকালে তবলছড়ি পর্যটন বিজিবি রোড আমিনা পাহাড় এলাকায় গোসল করতে যায় দুই বন্ধু মুহিত ও ইনাম। এ সময় তারা গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যায়। পরে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে একজনের দেহ ভেসে উঠে।
এছাড়া বুধবার (২২ জুন) রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন দু’জন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজলোর কাচালং নদী থেকে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন মাচালং মন্দরিপাড়া এলাকার কালাধন চাকমার ছেলে সুখর চাকমা (৩২) ও রুপকারী এলাকার গোলাছড়ি গ্রামের শ্রবিক্স চাকমার ছেলে চিরজ্যোতি চাকমা (৪২)।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মারিশ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আপন চাকমা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মাচালং ও রুপকারী ইউনয়িনের গোলাছড়ি এলাকায় কাচালং নদীতে মাছ ধরতে যান সুখর চাকমা ও চিরজ্যোতি চাকমা। মাছ ধরার এক পর্যায়ে কাচালং নদীর তীব্র পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে দু’জন নিখোঁজ হন। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বুধবার সারাদিন খোঁজাখুঁজির পরও তাদের মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে রুপকারী বিজয়ঘাট এলাকায় সুখর চাকমা ও গোলাছড়ি এলাকায় চিরজ্যোতি চাকমার মরদেহ ভেসে উঠে।
মারিশ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আপন চাকমা বলেন, ‘বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে। আজ সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে।’
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার বলেন, ‘নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃতদের পরবিারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।’
ডিজে