চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সদ্যঘোষিত কমিটির বিপরীত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও পরবর্তীতে জামালখান মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর চালিয়েছে যুবলীগ নেতারা—গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছে বিএনপি। এছাড়া বিবৃতিতে নিজেদের দলীয় নেতাকর্মীদের নামে হয়রানি মামলা, আটকের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এক বিবৃতিতে এসব নিন্দা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সম্প্রতি মহানগর যুবলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই গ্রুপ জামালখান মোড়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। এই মারামারি থেকেই বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রাম কলেজের সামনে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের মিছিল আসার সময় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের নিরীহ পাঁচজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশ বুধবার রাতে চাঁন্দগাও বাসা থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতা নওশাদ ও তার প্রবাসী ভাই সহ আটজনকে গ্রেফতার করে। এভাবে বুধবার সারারাত বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করে এবং ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে তাদের কারো ছবি নেই। এটা বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে। আমরা এই গ্রেপ্তার, মামলা এবং হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানান, বর্তমান সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের শত উস্কানির মুখেও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে। গত বুধবারের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ কর্মসূচি করার কথা ছিল গত ১১ জুন। কিন্তু যুবলীগ একই দিন পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করায় আমাদের কর্মসূচি পিছিয়ে ১৪ জুন করার সিদ্ধান্ত নিই। এরপরও যুবলীগ আমাদের সমাবেশের দিন ‘শান্তি সমাবেশ’র নামে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করেছে।
বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত বিপ্লব উদ্যানের নামফলক মুছে দেয়ার এই ধরনের কাপুরুষোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান নেতারা।
বিএস/ডিজে