বায়তুশ শরফ পীরের একই দিনে মারা গেলেন মসজিদের খতীবও

চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ দরবারের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব মাওলানা নুরুল ইসলাম (প্রকাশ নাজেম সাহেব হুজুর) ইন্তেকাল গেছেন।

বুধবার (২০ মে) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

প্রখ্যাত এই আলেমে দ্বীনের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার বড় হাতিয়া আখতরাবাদ কুমিরাঘোনা এলাকায়। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও মেয়ে পাঁচ মেয়ে রেখে গেছেন।

তিনি সাতকানিয়ার চুনতি হাকিমিয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম, ফাজিল এবং চট্টগ্রাম ওয়াজেদিয়া কামিল মাদরাসা থেকে কামিল পাশ করেন।

মাওলানা নুরুল ইসলাম বায়তুশ শরফ আঞ্জুমানে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি বায়তুশ শরফ দরবারের মরহুম পীর শাহসুফী অাল্লামা শাহ অাবদুল জব্বারের (রহ) জামাতা।

তিমি চট্টগ্রাম তিন পার্বত্য এলাকা বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স সমূহের মহাপরিচালক ছিলেন।

রাঙামাটি জেলার লংগদু ও মাইনীমুখ এবং বান্দরবানের পাহাড়ী এলাকায় বায়তুশ শরফ দরবারের প্রতিষ্ঠিত মসজিদ, এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলোর তদারকি করতেন।

বায়তুশ শরফ সংশ্লিষ্টরা জানান, মাওলানা নুরুল ইসলাম অামৃত্যু বায়তুশ শরফ দরবারের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। বায়তুশ শরফের অধীনে থাকা হাজার হাজার এতিমের অভিভাবক ছিলেন মাওলানা নুরুল ইসলাম।

সুললিত কন্ঠে মিলাদ শরীফ, জিকির, কাসিদায়ে গাউসিয়া শরীফ পরিচালনায় মাওলানা নুরুল ইসলামের খ্যাতি রয়েছে।

এদিকে বুধবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে ৪ টায়
বায়তুশ শরফ দরবার শরীফের পীর মাওলানা কুতুব উদ্দীনও মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

একই দিন দুই জন ইসলামী চিন্তাবিদের মৃত্যুতে চট্টগ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও বায়তুশ শরফ দরবারের ভক্তবৃন্দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এমআইটি/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!