মাকে নিয়েই করোনার কবলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক

পাঁচ দিন আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) চট্টগ্রাম প্রতিদিনের কাছে একথা স্বীকার করে তিনি নিশ্চিত করেছেন তার ৭৩ বছর বয়সী মা রাজিয়া কবীরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের এমও (সমন্বয়কারী) ডা. নাবিল চৌধুরী ও গাড়িচালক ফরহাদ রহমানের রিপোর্টও করোনা পজিটিভ এসেছে।

করোনার উপসর্গ (জ্বর-কাশি) নিয়ে ঈদের একদিন আগে গত ২৪ মে নিজ বাসায় আইসোলেশন চলে যান চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। তার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদকে। সেদিন করোনা পরীক্ষা করিয়ে তিনি আইসোলেশনে আছেন— এইটুকুই নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু তখনও তিনি আক্রান্ত কিনা এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমিও করোনায় পজিটিভ হয়েছি। অবশ্য আমার রিপোর্ট নাই। এখনও জ্বর-কাশি গলাব্যথা আছে। আবার আজকে মায়েরও করোনা পজিটিভ এসেছে সেটা জেনেছি। আমার নিজেকে নিয়ে সমস্যা নেই। করোনা ছাড়াও মায়ের কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে, ডায়ালাইসিস করাতে হয়— তাই একটু চিন্তিত।’

রিপোর্ট কখন এসেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মায়ের টেস্ট দুই একদিন আগেই করিয়েছি। তবে আজকে জেনেছি তিনি পজিটিভ। আসলে আমাদের রিপোর্টের দরকার হয় না।’

উল্লেখ্য, ২৬ মে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব (পার-২) শারমিন আক্তার জাহান এর স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আইসোলেশনে থাকাকালীন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ।

এসআর/এসএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!