চট্টগ্রামে ডাক্তারকে বাঁচাতে প্লাজমা দিলেন করোনাজয়ী পুলিশ সদস্য

করোনা আক্রান্ত দুই চিকিৎসকের জন্য প্লাজমা দিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সদস্য অরুণ চাকমা। তিনি সিএমপিতে করোনা জয় করে ফেরা প্রথম সদস্য। ১৯ এপ্রিল তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। ৩ মে সুস্থ হয়ে ব্যারাকে ফেরেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকেলে চমেক হাসপাতালের সামনে চট্টগ্রাম কর্ণফুলী ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড থ্যালাসেমিয়া সেন্টারে অরুণের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়।

সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) আবু বক্কর সিদ্দিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অরুণ চাকমার শরীর থেকে করোনা আক্রান্ত দুই চিকিৎসকের জন্য প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়েছে। অরুণ আমাদের ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনে কর্মরত। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) নগরীর প্রবর্তক মোড়ে দায়িত্ব পালন শেষে তিনি চমেক হাসপাতাল গিয়ে প্লাজমা ডোনেট করেন।’

করোনা মোকাবিলায় গঠিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক আ ম ম মিনহাজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্লাজমার বিষয়ে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগমের সাথে আলাপ করলে তিনি করোনাজয়ী পুলিশ সদস্য অরুণ চাকমা শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহে সহায়তা করেন। ২৬ মে চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের শরীরে প্রথম দফায় প্লাজমা প্রয়োগ হয়। এরপর থেকে তার শরীরের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও আশঙ্কামুক্ত নন। এজন্য তাকে শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় দফায় তাকে প্লাজমা দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, ১ মে এবং ১৭ এপ্রিল প্লাজমা নিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা একটি প্লাজমা ব্যাংক গড়ে তোলার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা করেন। ঢাকায় প্লাজমার সফল প্রয়োগের পর চট্টগ্রামের প্লাজমা ব্যাংক দ্রুত গঠন হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!