বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের কোমরে দড়ি, পেকুয়ার ওসি ও এএসআইকে শোকজ

কক্সবাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র হামিম মো. ফাহিমকে (২৫) কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পেকুয়া থানার ওসি মো. ইলিয়াছ ও এএসআই রইস উদ্দিনকে শোকজ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইন এ শোকজ করেন।

আদালতের শোকজ আদেশ সূত্রে জানা গেছে, মারামারির মামলায় গ্রেপ্তার ফামহিমকে কোমরে রশি দিয়ে বাঁধার বিষয়ে আগামী ২ দিনের মধ্যে আইনানুগ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য পেকুয়া থানার ওসি মো. ইলিয়াছ ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা এএসআই রইস উদ্দিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্তের পক্ষে মামলাটি মিথ্যা দাবি করায় বাদি পক্ষের আহত ব্যক্তির মেডিকেল রিপোর্ট সঠিক আছে কি-না তা অনুসন্ধান করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কক্সবাজার সিভিল সার্জনকে।

একইসঙ্গে কক্সবাজার আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রারে উল্লেখিত জখমির জখম সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠার সত্যায়িত ফটোকপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত ফাহিমের জামিন বিষয়ে অধিকতর শুনানি হবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি।

ফাহিমের বাবা শাহাব উদ্দিন জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে আমার ছোট ছেলের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরে ফাহিম বাদি হয়ে মামলা করে। এরপর প্রতিপক্ষের লোক আদালতে ফাহিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। তবে এ মামলা বিষয়ে আমরা কিছুই জানাতাম না।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মারামারির মামলায় গত ১৭ জানুয়ারি সমন জারি করেন আদালত। অভিযুক্ত উপস্থিত না থাকায় ২৪ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন রোববার চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেকুয়া থানা-পুলিশ সদস্যরা ফাহিমকে কোমরে রশি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করে। এসময় আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

হামিম মো. ফাহিম সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবির শিক্ষার্থী। তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লাঘোনা গ্রামের বাসিন্দা মো. সাহাব উদ্দিনের ছেলে। পেকুয়া সদরে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন ফাহিম।

আরএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!