পছন্দের বিয়ে। মাত্র দেড়মাস আগে বিয়ে হয়েছে তৃষ্ণা জলদাশ ও শুভ্র পালের। কিন্তু বিয়ের পরপরই শুভ্রর মামা, মামী শুভ্রকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়। স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটাতেই এমনটি করেছেন মামা-মামী, অভিযোগ তৃষ্ণার মেঝ ভাই যীশু জলদাশের।
স্বামীর শোকে মঙ্গলবার (১ জুন) রাত সাড়ে দশটার দিকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তৃষ্ণা জলদাশ। সীতাকুণ্ডের ৮ নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শীতলপুর এলাকার ভগুলাল বাজারে চন্দনের ভাড়া ঘরে তৃষ্ণা আত্মহত্যা করেন।
যীশু জলদাশ জানান, তৃষ্ণার আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে বিয়ের পর স্বামী বিদেশ চলে যায়। কিন্তু যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে বিদেশে গিয়ে স্বামী তৃষ্ণার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তার বোন বাবার বাড়িতে চলে আসে।
পরবর্তীতে বর্তমান স্বামী শুভ্রর সাথে ফোনে যোগাযোগ তারপর প্রেম হয়। মাস দেড়েক আগে তারা বিয়ে করে। শুভ্রর মামা বিয়েতে সাক্ষী ছিল। কিন্তু বিয়ের পর সেই মামা-মামী শুভ্রকে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের কাছে নিয়ে গিয়ে রাখে। সেলুনের কাজ করত শুভ্র।
মামা-মামী শুভ্রকে তৃষ্ণার কাছে আসতে দিতে না। স্বামীর শোকেই গলায় ফাঁস দিয়ে নিজের জীবন শেষ করেছে তৃষ্ণা, -বলেন যীশু জলদাশ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী পুলিশ পরিদর্শক শীলাব্রত বড়ুয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গতকাল রাতে গলায় ফাঁস লাগানো এক মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা আছে।
আইএমই/কেএস