বিএসআরএম কারখানায় পেল বিশ্বযুদ্ধের তাজা ‘আর্জেস গ্রেনেড’

বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের কারখানা থেকে একটি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। পরে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।

বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিটের কর্মকর্তারা পরে নিরাপদেই গ্রেনেডটির বিস্ফোরণ ঘটান।

বুধবার (৮ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকায় বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের কারখানা থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেনেডটি আর্জেস গ্রেনেড হিসেবে পরিচিত বলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পলাশ কান্তি নাথ। তিনি বলেন, এটি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জোরারগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের কারখানায় স্ক্র্যাপের কাঁচামালের সঙ্গে একটি তাজা গ্রেনেড দেখতে পান শ্রমিকরা। জোরারগঞ্জ থানাকে খবর দিলে পুলিশ এসে দেখেন এটি একটি তাজা গ্রেনেড। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজমকে জানানো হয়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা গ্রেনেডটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বুধবার বিকেল তিনটার দিকে বিএসআরএম কারখানা থেকে থানায় একটি বোমা পাবার খবর জানানো হয়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লোহার রড তৈরির কাঁচামালের মধ্যে একটি গ্রেনেডসদৃশ বস্তু বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে আছে। আমি তখন সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউরিটের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিটকে খবর দিই। তারা এসে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে রাতে নিষ্ক্রিয় করে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, জোরারগঞ্জ থানা থেকে খবর পেয়ে বোম ডিসপোজাল ইউনিটিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হলে তারা সেটি শনাক্ত করে পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেন।

এছাড়া কারখানার ভেতরে আর কোনও গ্রেনেড আছে কিনা তাও দেখা হয়। তবে আর কোনও গ্রেনেড সেখানে পাওয়া যায়নি।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!