বাশঁখালীতে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই চেয়ারম্যানসহ আসামী ২২ জন

বাশঁখালীতে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই চেয়ারম্যানসহ আসামী ২২ জন 1নিজস্ব প্রতিবেদক : বাশঁখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামী করা হয়েছে এমপি’র একান্ত সচিব ও বাহারছড়া ইউনিয়নের তাজুল ইসলাম এবং সরল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও এমপি’র চাচা রশিদ আহমদ চৌধুরীসহ ২২ জনকে।

এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে ২০-৩০ জন। আসামীদের মধ্যে সবাই এমপি’র সমর্থক বলে জানা যায়। বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামের মোঃ নাজেম উদ্দীন চৌধুরীর পুত্র ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আনিসুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে গত শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে বাশঁখালী থানায় মামলা দায়ের করা এ মামলার (মামলা নং- ১১) অপরাপর আসামীরা হলেন, সরলের ইউপি সদস্য মৃত নুরুচ্ছফার পুত্র রশিদ আহমদ, মোঃ হারুন, মৃত লোকমান আহমদের পুত্র জসীম উদ্দীন, কালীপুরের সোহাগু রহমানের পুত্র ছাত্রলীগ নেতা নাদিম, সরলের হাছানের পুত্র শফি আলম প্রঃ শইফ্যা, আলী হোছেন প্রঃ আইল্যা, বৈলছড়ির কাশেম, সরলের দানু মিয়ার পুত্র বাবুল, চেচুরিয়ার ফিরোজ চৌধুরীর পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগৈর সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরানুল হক ফাহিম, চাপাছড়ির মোঃ কালুর পুত্র শওকতুল ইসলাম, খানখানাবাদের ডোংরার মনির আহমদের পুত্র মোঃ ওয়াসিম, শামশুল ইসলামের পুত্র মোঃ ইসমাইল, রায়ছটা মোঃ মুন্সির পুত্র মোঃ ফরহাদ, পশ্চিম ইলশার ফজল কাদেরের পুত্র আবুল কালাম, চাপাছড়ির সাইফুল হকের পুত্র মনজুর আলম, রতœপুরের শফিক আহমদের পুত্র খোরশেদুল আলম, চাম্বলের মৃত সিরাজুল ইসলাম প্রঃ সিরাজ প্রফেসারের পুত্র ইফতেখার হোসেন তালুকদার বাবু, খালেক, ছনুয়ার আবদুল হকের পুত্র শামশুল আলম, মৃত আবদুল হকের পুত্র আবদুল আউয়ালসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামীরা করা হয়েছে ২০-৩০ জনকে। মামলা দায়েরের পর থেকে মামলায় অভিযুক্তরাসহ অধিকাংশ নেতাকর্মী গা ঢাকা দিলেও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনো পর্যন্ত উত্তেজনার ছাফ রয়েছে গেছে সর্বত্র। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির চৌধুরী লিটন। তিনি ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মামলার অগ্রগতি ও গ্রেফতার সংক্রান্ত ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, এখনো কোন আসামী গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আসামীরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের গ্রেফতার করতে বেগ পেতে হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!