বাগমনিরামের কাউন্সিলর গিয়াসের বিস্ময়কর দারিদ্র্য!

৫ বছরেও আয় বাড়েনি ১ টাকাও

কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি ছিলেন ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী। সে সময় তার আয়ের বিবরণ যা ছিল, ৫ বছর পরে এসে এখনও তাই। কাউন্সিলর হওয়ার পরও তার অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তিত হয়নি। খুব বেশি আসবাবও ব্যবহার করেন না তিনি। স্ত্রীরও নেই অপরিমিত স্বর্ণালংকার। দাপুটে এই কাউন্সিলরের সম্পদের এই অবস্থা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক মহল।

তিনি ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন। নির্বাচিত হওয়ার ৫ বছর আগে নগরীর ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বিস্ময়করভাবে বর্তমানেও তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৭০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার থেকেও নিজে এবং পরিবারকে ‘বিরত’ রেখেছেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াসউদ্দীন।

৫ বছর আগে গিয়াসউদ্দীনের নগদ ছিল ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ছিল ১লাখ ৪০ হাজার টাকা। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার ৫ বছর পরে নগদ টাকা আংশিক পরিবর্তিত হয়ে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত হলেও ব্যাংকের জমা আগের মতোই ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা রয়ে গেছে!

৫ বছর আগে তার স্ত্রীর স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু বাবদ ১ লাখ টাকা ছিল, যা বর্তমানে কিছুটা বেড়ে ৩ লাখ টাকা হয়। তার বাসায় ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ছিল। বর্তমানেও তা ৮০ হাজার টাকায় সীমাবদ্ধ আছে। টিভ, ফ্রিজ, ডাইনিং টেবিল ও সোফা ছাড়া আর কোন প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ব্যবহার করেন না বলে তা হলফনামায় উল্লেখ করেননি।

তিনি একক বা যৌথভাবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ঋণ গ্রহণ করেননি। এছাড়া স্ত্রী বা পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে বেনামে কোন সম্পত্তি নাই তা হলফনামায় উল্লেখ করেন।

হলফনামায় তার প্রাইভেট কারসহ যৌথ মালিকানায় ১দশমিক ৪ শতাংশ কৃষিজমি ও দালান, আবাসিক/বাণিজ্যিক সম্পদ ছিল, যা বর্তমানেও বিদ্যমান। তার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা নাই।

আরএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!