বদরখালীতে চিংড়িঘের দখলে নিতে হামলার অভিযোগ

ঘের কেটে লাখ টাকার মাছ লুট করা ছাড়াও ৮০ একরের চিংড়ি ঘের দখল করেছে সশস্ত্র ডাকাত দল। চিংড়ি ঘেরে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের উপর হামলাও করে তারা।

ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালী উপকূলীয় চিংড়িজোন এলাকায়। দখল হামলার পর ঘেরগুলোর বাঁধ কেটে কয়েক লাখ টাকার মাছ নিয়ে গেছে বলে জানিয়ে থানায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের রামপুর মৌজার মৎস্যঘের মালিক মো.আলমগীর।

অভিযোগ পাওয়ার পর ২ সেপ্টেম্বর চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও ওই রাতে ফের প্রকল্প দখল করে সশস্ত্র ডাকাত দলেরা।

মৎস্যঘেরের মালিক পক্ষের চাষা মো.আলমগীর বলেন, ‘মৎস্য প্রকল্পের ইজারা পাওয়া মালিক এহতেশাম এন্টারপ্রাইজ, আফতাব আহমদ চৌধুরী, শাহীন আফসার ও হাজী আবদুল খালেকসহ অপরাপর মালিকদের কাছ থেকে মাছ চাষের জন্য দায়িত্বভার নিই। এরপর থেকে দীর্ঘদিন সেখানে আমি মাছ চাষ করে আসছি। বেশ কিছুদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ঘের দখল করত চেষ্টা করছে। এ ধারাবাহিকতায় ১ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র লোকজন নিয়ে দখল করে।’

মো. আলমগীর আরো বলেন, ‘থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পৌরসভার ভরামুহুরীর মৃত শামশুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে লিটন চৌধুরীকে বিবাদি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।সাহারবিল এলাকার সন্ত্রাসী নুরু ও সবুজ এ ঘের দখলে অংশ নেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এই ৮০ একর ঘের দখলমুক্ত হয়নি। নানা ভাবে ঘের কর্মচারিদের হুমকি দিয়ে আসছে।’

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, ‘উপকূলীয় চিংড়ি জোন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব খারাপ। পুলিশ তাৎক্ষণিক যেতে চাইলেও সম্ভব হয় না। ঘের মালিকদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে বক্তব্য নিয়ে লিটন চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!