প্রেমিকার পরিকল্পনায় প্রেমিক অপহরণের চেষ্টা আগ্রাবাদে

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

প্রেমিকার পরিকল্পনায় অপহরণ করে নেওয়ার পথে পুলিশ কর্মকর্তার চোখে পড়ায় বেঁচে গেলেন প্রেমিক। চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ জাম্বুরি পার্কে প্রেমিকা মুন্নির সাথে দেখা করতে এসে অপহৃত হন প্রেমিক মাঈনুদ্দিন নিঝুম।

অপহরণের ঘটনায় আটক নুরুদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) মহানগর মূখ্য হাকিম আবু সালেম মো. নোমানের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) ব্যবসায়ী মাঈনুদ্দিন নিঝুম তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে জাম্বুরি পার্কে আসেন। দেখা করে ফেরার পথে কয়েকজন মিলে তাকে আঘাত করে সিএনজি ট্যাক্সিতে তুলে নেয়। গাড়িতে তোলার সময় এ দৃশ্য দেখতে পান নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আশিকুর রহমান। তিনি ওই স্থান থেকেই তাদের অনুসরণ করেন।
চৌমুহনী মোড় থেকে ওই সিএনজি ট্যাক্সি অবরোধ করে অপহরণকারীদের আটক করা হয়।

ওইদিন রাতেই নিঝুম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের মধ্যে নুরুদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, সন্দ্বীপের অধিবাসী মাঈনুদ্দিন নিঝুম নগরীর হালিশহরের বি ব্লকে বোনের বাসায় থাকেন। সম্প্রতি রাবেয়া মুন্নি নামে এক তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্রে প্রেমিকার সাথে তিনি জাম্বুরি পার্কে দেখা করতে আসেন। অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিঝুমকে অপহরণ করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী প্রেমিকা মুন্নি ও ইমন। তাদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আটক নুরুদ্দিনের অপর সঙ্গীরা হলেন আবু বকর সিদ্দিক পাভেল, মো. নোমান, হোসেন ও শাহীন আক্তার মোনা। এদের মধ্যে পাভেল ও নোমান পেশায় শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!