পর্যাটন শহরে ট্যুরিষ্টদের ঐতিহাসিক সৌন্দয্যে! রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বাংলোতে অতিথি পাখির কলতান

চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙামাটি।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বাংলোতে অতিথি পাখির কলতান। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বাংলোতে অতিথি পাখির নিজেদের নিরাপদবোধ করায় গড়ে তুলেছে শান্তি ও সম্মিলনের নান্দনিক আবাসস্থল। পর্যাটন শহরে ট্যুরিষ্টদের ঐতিহাসিক সৌন্দয্যে !

পর্যাটন শহরে ট্যুরিষ্টদের ঐতিহাসিক সৌন্দয্যে! রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বাংলোতে অতিথি পাখির কলতান 1
কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নানা প্রজাতির পাখী খাদ্যের সন্ধানে এই ডিসি বাংলাতে আশ্রয় নেয়। নিরাপদ পরিবেশ পেয়ে এক শংকামুক্ত জীবনের আবদ্ধনে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা নানা প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠে ডিসি বাংলো । এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রত্যক্ষ করতে প্রতিদিন সেখানে ভীড় করেন পর্যাটক ও অসংখ্যক মানুষ। প্রতিবছর শীত মৌসুমে মায়া মমতার আবদ্ধে আশ্রয় এসব অতিথি পাখীরা।
শীত ও বর্ষা মৌসুমে পানকৌড়ি,বালিহাসঁ,ডাহুক,পান্তামুখি,মাছরাঙা,বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্যক পাখির আবাসস্থল গড়ে তুলেছে। ফলে হ্রদ বেষ্ঠিত হওয়ায় কর্ণফুলীর নদীতে অবাধ বিচরণ করে এসব পাখীরা। জেলাপ্রশাসক বাংলোর বিভিন্ন গাছে পাখিতে ছেয়ে গেছে। পাখির অস্বাভাবিক বিচরণে পুরো বাংলোর চারিদিকে ঝকমকে সাদা দৃশ্য যেন রং এর ছোয়ায় প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ দেখা যাচ্ছে।
সারাবছর কাজ থাকলেও শীত মৌসুমে পর্যাটকদের আগমণ বেশী ঘটে রাঙামাটিতে। পর্যাটনে সবচেয়ে বেশী পরিচিতি পেশা হচ্ছে ট্যুরিষ্ট গাইড। এছাড়া বিভিন্ন ভাষার বসবাস হওয়ার দোভাষী হিসাবে ঘুরে বেড়ানোর মত মজার অভিজ্ঞতা যোগায়। কখনো পাহাড়,কখনো দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ ।

 

এ কারণে পরিকল্পিত উন্নয়ন ও পর্যাটনখাতে নিত্যনতুন বিনোদন স্পট গড়ে তোলার বিশেষজ্ঞদের অভিমত। বান্দরবাণের মত রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসকের ব্যবস্থাপনায় নিত্য নতুন পর্যাটন স্পট নিমার্ণ করতে পারে বলে সাংবাদিক মহলের ধারণা । যেহেতু রাঙামাটি প্রবেশ মুখে টিভি কেন্দ্র পার্শ্বে সুন্দর স্পট স্থাপন করলে দার্জিলিং ও বান্দরবাণ কে হার মানবে । পাশাপাশি বড়দাম হয়ে কাপ্তাই রোডে কয়েকটি বিনোদন স্পষ্ট নিমার্ণ করলে পর্যাটকদের আগমণ আরো ঘটবে রাঙামাটিতে ।
৭২৫ কিলোমিটার এ কৃত্রিম হ্রদের পাহাড় গুলোতে বসবাস করে ১৩ উপজাতি । এসব উপজাতি একজনের ভাষা অন্যজনে বুঝে না। কিন্ত সকলে কমন বাংলাভাষা বুঝতে পারে। এ কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এক সময়ে রাঙামাটিতে জনসমাবেশে বলেছিলেন আমরা সবাই বাঙ্গালী। তাই বাংলাদেশের অধিবাসী সকলের  প্রতি বাংলা ভাষার ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন।
এমনিতে প্রতি বছর  বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী.সচিবসহ দেশী-বিদেশী সরকারের গুরুর্ত্বপুর্ণ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রাঙামাটিতে ঘুরে যান। কিন্তু সবাই হতাশ ফিরে যান। ২৫টি উপজেলা নিয়ে তিন পার্বত্য জেলা,মুলত:পার্শ্ববর্তী বান্দরবণ পর্যাটনখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও রাঙামাটিতে তুলনামুলক ভাবে অনেক পিছিয়ে আছে।

 

উন্নয়নের পুর্বশর্ত আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখা। কিন্তু রাঙামাটিতে কয়েকটি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় কয়েক বছর পর্যাটন খাতে তেমন উন্নয়ন হয়নি। নেই কোন পর্যাটন স্পট। এ কারণে স্বাভাবিক অর্থে কাপ্তাই  হ্রদকে ঘিরে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল পরিকল্পনার প্রতি উদাসীন ।

এ এস / জি এম এম / রাজীব প্রিন্স :

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!