পতিত স্বৈরাচার আর নব্য স্বৈরাচার মিলে মিশে আজ একাকার : ডা. শাহাদাত হোসেন

পতিত স্বৈরাচার আর নব্য স্বৈরাচার মিলে মিশে আজ একাকার : ডা. শাহাদাত হোসেন 1নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে নব্য স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের গণতন্ত্র আজ লুণ্ঠিত, মানবতা বিপন্ন, ভোটাধিকার অবরুদ্ধ, জনগণ আজ একদলীয় স্বৈরশাসনের নির্যাতন-নিপীড়নে পিষ্ট। আইনের শাসন আজ নির্বাসিত, তাই জনগণ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে আমাদেরকে আবারও অতীতের ন্যায় দলমত নির্বিশেষে রাজপথে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং এই একদলীয় স্বৈরশাসকের কবল থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হবে, নাহয় ইতিহাস আমাদেরকে ক্ষমা করবে না। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী মুহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে অদ্য ৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় নগরীর লাভ লেইনস্থ মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলে নগর ছাত্রদল আয়োজিত “লুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছাত্রদের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, পতিত স্বৈরাচার আর নব্য স্বৈরাচার মিলেমিশে আজ একাকার হয়ে গেছে। আশির দশকের ধিকৃত স্বৈরাচার এরশাদ ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। যে স্বপ্ন নিয়ে সেদিন ছাত্রজনতা মিলে তীব্র গণআন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটায় তাদের সে স্বপ্ন আজ কেবলই স্বপ্ন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত সকল শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে খুনী এরশাদের সাথে আতাত করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের জনগণের সম্মুখে নব্য স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এ দুই স্বৈরাচার মিলে আজ জনগণের নুন্যতম মৌলিক অধিকারটুকুও হরণ করে নিয়েছে। জনগণের উপর নেমে এসেছে নির্যাতনের ষ্ট্রিম রোলার।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব বাংলাদেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছিল স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটানোর মাধ্যমে। সেদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি ও মনোবল ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ। তাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতাকর্মীদেরকেও আবারও দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই দুই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আশির দশকের ছাত্র জনতার লালিত “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ” গঠনের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবারও রাজপথে থেকে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম আরও তীব্র থেকে তীব্রতর গড়ে তুলবে আমার প্রিয় ছাত্রদল নেতাকর্মীরাই। গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো বৃথা যায় না। গণতন্ত্রের বিজয় হবেই হবে।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আবু সুফিয়ান। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাজিমুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আর.ইউ.চৌধুরী শাহীন, সাবেক নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, নগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দিন নাহিদ, বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড, কলেজ সমূহ উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!