নিপীড়িত মানুষের ভরসা সৎ বিচারক ও আইনজীবী, আইআইইউসির অনুষ্ঠানে রিজিয়া রেজা

সৎ বিচারক এবং আইনজীবীরাই অন্যায়, জুলুম ও নিপীড়নের শিকার মানুষের একমাত্র ভরসা বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী।

রোববার (৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগ ক্লাব আয়োজিত শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আইন শিক্ষার বিশেষত্ব হল, শিক্ষা পরবর্তী সময়ে যখন তারা আইনের চর্চা করেন তখন সমাজের প্রতি অনেক মানবিক দায়িত্ব তাদের পালন করতে হয়। মানুষ যখন অন্যায়, জুলুম ও নিপীড়নের শিকার হন, তখন একমাত্র সৎ বিচারক কিংবা আইনজীবীই পারেন তাদের সেই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে। আপনারা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে আইনি শিক্ষা লাভ করেছেন, তার প্রতিফলন যদি সামাজিক এবং মানবিক ক্ষেত্রে দেখাতে পারেন তবেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মোরাল স্ট্যাটাস সমুন্নত থাকবে।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, ‘৫০ জনের বেশি এক ব্যাচে ভর্তির নির্দেশ ছিল না এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীদের সাথে বার কাউন্সিলের যে সমস্যা ছিল, তা নিয়ে আমরা কাজ করেছি এবং প্রায় ৪০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে রেড মার্ক ছিল ইউজিসি থেকে, যেই সকল কারণে এই সমস্যা ছিল তাও আমরা দূর করে রেড মার্ক সরিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘একেবারেই শূন্য কোষাগার ছিল ২৫ বছরের পুরনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। অসংখ্য দেনা রয়ে গিয়েছিল, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা হয়নি, কাজের বিল পরিষদ করা হয়নি, ভ্যাটের বিল পরিশোধ করা হয়নি। আমরা বিগত এক বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে এই সকল সমস্যার সমাধানে কাজ করেছি এবং করছি। এসব কিছুই একমাত্র সম্ভব হয়েছে বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী’র একান্ত প্রচেষ্টায়।’

আইআইইউসি’র আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান মো. মনজুর হোসেইন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক ড. মাহি উদ্দিন, ফিমেল একাডেমিক জোনের কো-অর্ডিনেটর ফারহানা ইয়াসমিন চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র রেজিস্ট্রার এএফএম আখতারুজ্জামান কায়সার।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ছিলেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী আরশাদুল হক, সঞ্চালনা করেন ছিলেন আইন বিভাগের প্রভাষক নুসরাত জাহান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!