ধর্মঘটের কারণে তিনদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) থেকে সচল হয়েছে বন্দরে পণ্য পরিবহন। পণ্য ডেলিভারি নেওয়ার জন্য ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংক লরি-প্রাইম মুভার বন্দরে প্রবেশ করছে, বন্দর থেকে কনটেইনার নিয়ে বেরও হচ্ছে এসব পরিবহণ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বন্দর এখন স্বাভাবিক। সকাল (মঙ্গলবার) থেকে পুরো দমে চলছে পণ্য ডেলিভারি।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে চট্টগ্রামে সব পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ রেখেছিলেন পরিবহন মালিকরা। পরে সোমবার গভীররাত থেকে পণ্য ডেলিভারির তোড়জোড় শুরু বন্দরে। সোমবার (৮ নভেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পণ্যবাহী গাড়ির ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
অতিরিক্ত দামে ডিজেল কিনে পরিবহন চালাতে পারবেন না বলে তখন জানিয়েছিলেন মালিকরা। সেক্ষেত্রে ভাড়া সমন্বয়ের দাবি ওঠে। ডিজেলের দাম কমানো, নতুবা ভাড়া সমন্বয়ের দাবি ওঠে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। দাবি পূরণ না হলে পরিবহন চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন তারা। তাদের সঙ্গে একমত হন পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। যা কার্যকর হয় ওইদিন রাত ১২টা থেকে।
এএস/এমএহক