ডিপোর মেইন গেইট খুলতে দেরি হওয়ায় বেড়েছে হতাহতের সংখ্যা

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ

ডিপোর মেইন গেইটে দায়িত্বরত গার্ডদের আগুন লাগার সংবাদ দিতে আসে মালামাল নিয়ে খালাসের অপেক্ষায় থাকা কাভার্ডভ্যান চালক আসিফ। কিন্তু গার্ডরা মেইন গেইট তখনও খুলে দেয়নি। এরপর ভেতরের লোকজনকে বাইরে নিয়ে সে আবার ভেতরে যায়। এ সময় আসিফ অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঝলসে যায়।

তার দাবি, মেইন গেইট খুলে দিলে হতাহতের সংখ্যা কমতো। স্থানীয়রাই পরে মেইন গেইট ভেঙে ফেলে। এতে কিছু লোক বেরিয়ে এসে প্রাণে রক্ষা পায়।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় আসিফকে উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় তাকে।

শনিবার (৪ মে) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিদগ্ধ আসিফকে আল আমিন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, রাতে সীতাকুণ্ড বিএম ডিপোতে মালামাল আনলোড করার অপেক্ষায় ছিলো আসিফ। তার মুখের ডানপাশ আগুনের তীব্রতায় ঝলসে যায়। আসিফকে অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয় কয়েকজন যুবক কোলে তুলে দৌঁড়ে বের হয়ে আসে। তখনও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া আসিফ জানে না তার সাথে থাকা হেলপার ও গাড়ির কি হাল।

তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করা আসিফ বলেন, ‘ঢাকা সাভার বোগদাদ ট্রান্সপোর্টের মাল নিয়ে আনলোডের অপেক্ষায় ছিলাম। ডিপোর গেইটের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা প্রহরীকে আগুন লাগার বিষয়টি জানালে তারা গাফিলতি করে। ভিতরে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ আগুন লাগার পর গেইট বন্ধ থাকায় বের হতে না পারায় অগ্নিদ্বগ্ধের সংখ্যা ও নিহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। স্থানীয়রা গেইট না ভাঙলে শতাধিক মানুষ আগুন আর ক্যামিকেলের গন্ধে দম আটকে মারা যেতো।’

জেএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!