চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবে প্রাণের ছোঁয়া

‘এসো মিলি পঞ্চাশের উৎসবে, গৌরবে অস্তিত্বে অনুভবে’— প্রতিপাদ্যে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভার মাধ্যমে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।

চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবে প্রাণের ছোঁয়া 1

এর আগে শুক্রবার বিকেলে নগরীর এম এ আজিজ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে দুইদিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।

চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবে প্রাণের ছোঁয়া 2

এ দিকে দুই দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়। বিভাগের ১ম ব্যাচ থেকে শুরু করে শেষ ব্যাচ পর্যন্ত নানা বয়সের, নানা পেশার হাজার হাজার বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন। এদের শিক্ষক, কেউ ব্যবসায়ী, কেউবা সরকারি কোনো বড় অফিসের কর্মকর্তা। আবার কেউ আছেন বিদেশের কোনো বড় কোম্পানিতে কর্মরত। কেউ এসেছেন লাঠিতে ভর দিয়ে আবার কেউ এসেছেন পরিবারের সদস্যদের হাত ধরে। দীর্ঘদিন পর মায়া জড়ানো এই প্রাণের ক্যাম্পাসে আসতে পেরে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই। আবার অনেকে প্রিয় বন্ধুদের সান্নিধ্য পেয়ে হয়ে পড়েন উচ্ছ্বসিত।

চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবে প্রাণের ছোঁয়া 3

কেউ স্মৃতিচারণ করেন পুরানো দিনের। কেউবা ঘুরে আসেন ক্লাসরুম ও দীর্ঘদিন অবস্থান করা আবাসিক হলে। কেউবা মেতে উঠেন সেলফি তোলার উৎসবে।

১৭ বছর পর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে নোয়াখালী থেকে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে এসেছেন ১৯৯৬-৯৭ ব্যাচের জহির উদ্দীন সাইমুন। পুরাতন বন্ধু, সিনিয়র ও জুনিয়রদের পেয়ে আপ্লুত তিনি।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো সময় কেটেছে এই দুইদিন। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে এসেছি। পুরাতন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা হলো। মনে হচ্ছে আবারও ছাত্রজীবনে ফিরে গেলাম।’

১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষের সঞ্জীব দে একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস ছাড়ার পর অনেকের সাথে আর দেখা হয়নি। দীর্ঘদিন পর সবাই মিলিত হয়েছি। অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না।’

এ দিকে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অমল ভূষণ নাগ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আবদুল হাই ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মনজুর মোরশেদ মাহমুদ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, সিএজি অব বাংলাদশ মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সচিব মু. মোহসিন চৌধুরী ও সহ-উপাচার্য (একাডমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

অনুষ্ঠান স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করন সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব একাউটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আলী আরশাদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে স্মারক বক্তব্য দেন ভারতের একাউটিং রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ভবতোষ ব্যানার্জী।

অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে ১২৩ জন গুণী শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!