চন্দনাইশে টেন্ডারবাজী

নুরুল আলম, চন্দনাইশ : চন্দনাইশ পৌরসভার টেন্ডার বাক্রা ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, চন্দনাইশ পৌরসভার ৫টি হাট-বাজার এর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। তিন ধাপে ধার্যকৃত তারিখে আজ ৮মার্চ ধার্য্যকৃত দিবসের ১ম ধাপ। তদনুসারে ডাককারীদের সকাল থেকেই দরপত্র পেশের জন্য পৌরসভা অফিসে আসে। মেয়র জানান, ৯টা ১৫মিনিট সময়ে উপস্থিত ডাককারীদের টেন্ডারবক্রা খুলে প্রদর্শন করা হয়। ৫-৬টি দরপত্র বাক্রো পড়ে। ১০.৩০ মিনিটের দিকে কতিপয় উচ্ছঙ্খল যুবক মেয়রের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে এবং বাক্রো কে কে দরপত্র ফেলিয়েছে তা জানতে চাই এবং বাক্রা তাদেরকে খুলে দেখাতে বলে। মেয়র নিয়ম অনুসারে বাক্রা এ সময় খুলে দেখার নিয়ম নেই বলে জানান। এ অবস্থায় ডাককারীদের কয়েকজন মেয়রের সামনে পাশে চেয়ারে বসে আলাপ করছিল অপর কতিপয় যুবক টেন্ডারবাক্রাটি মেয়রের কক্ষ হইতে বের করে নিয়ে যায় এবং দ্বিতল থেকে পৌরসভা ভবনের নিচ তলায় প্রাঙ্গনে ছুড়ে ফেলে দেয় এবং বাক্রাটি ভাংচুর করতে থাকে। বাক্রো থাকা ৫-৬টি দরপত্রের প্যাকেট নিয়ে যায়। মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা জানান, এ সময় চন্দনাইশ থানা পুলিশের ৩জন সাব-ইন্সেপেকটর আলআমিন, রাজীব, সাধন ও তাদের সাথে থাকা কনস্টেবল নীরব ভূমিকা পালন করে । এ দিকে বহু ডাককারী আজকের দিনে দরপত্র ড্রপ করার জন্য আসলেও তারা এ অবস্থায় ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। মেয়র জানিয়েছেন, ‘‘আগ্রাহীদের পরবর্তী আরও সময় বাড়িয়ে দেওয়া হবে’’ এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে দরপত্র গ্রহণ এবং উন্মূক্তভাবে প্রকাশ করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত যুবকরা ক্ষমতাসীন দলের চাদাবাজ ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। পৌরসভার বিভিন্ন টেন্ডার নিয়ন্ত্রনকারী হিসাবে চিহ্নিত যুবকদের সাথে যোগাযোগ ব্যতীত কেউ যাতে দরপত্র জমা দিতে না পারে তার জন্য এ যুবকরা তৎপরতার দেখাচ্ছে বলে সাধারণ সচেতন মহল মনে করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!