চট্টগ্রাম বন্দরকর্মীরা প্রণোদনা চান বেতনের তিনগুণ

করোনাভাইরাসের মহামারীতে বেতনের তিন গুণ প্রণোদনা চান চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মচারীরা। রোববার (১০ মে) প্রণোদনা কমিটির সভা শেষে এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রণালয়ে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি সাধারণ ছুটির মধ্যেই চলমান ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক কর্মচারীর মৃত্যুর পর সুরক্ষা নিশ্চিত ও প্রণোদনা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এর জন্য গঠন করা হয়েছে ৮ সদস্যের কমিটি।

রোববার কমিটির দ্বিতীয় সভার চূড়ান্ত সুপারিশ পাঠানো হবে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে। প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক মূল বেতনের তিনগুণ প্রণোদনার প্রস্তাব করা হচ্ছে।

কমিটির এক সদস্য জানান, দেশের আমদানি-রপ্তানি ও খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হয় চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম। ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে বন্দরের প্রায় ৫ হাজার কর্মী।

বন্দর সূত্র মতে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৫ মে রাতে পরিবহন বিভাগের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের কর্মী আবদুল হালিমের (৫৬) মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবিতে ৭ মে সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ করে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের কর্মীরা। ৩ ঘন্টা কাজ বন্ধ থাকার পর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দুপুর ১টার দিকে কাজে ফেরেন কর্মীরা। এরপর থেকেই মূলত প্রণোদনা নিয়ে কাজ শুরু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দর কর্মীদের আর্থিক প্রণোদনার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ৮ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয় বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশিদকে । এছাড়া উপসংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, প্রধান নিরীক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক, সিবিএ সভাপতি মো. আবুল মনছুর আহম্মদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. নায়েবুল ইসলাম ফটিককে করা হয় সদস্য।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক বলেন, আমরাও মূল বেতনের তিনগুণ দেওয়ার সুপারিশ করছি। সরকারি সংস্থাগুলোকে যেভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে আমরাও সেভাবে চাইছি। ব্যাংকে ১০ দিন কাজ করলে এক মাসের সমান পাচ্ছে। তাহলে আমরা পাবো না কেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ নেই। কমিটির প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদন হয়ে আসলে সব শ্রমিকরা প্রণোদনা পাবে।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!