চট্টগ্রামে ধীরে ধীরে করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা কমছে। চলতি জুলাই মাসে ষষ্ঠবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখলো চট্টগ্রাম। গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও নতুনভাবে শনাক্ত হয়েছেন ১৩৩ জন। চট্টগ্রামের সরকারি চারটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলজে ল্যাবের মধ্যে পাঁচটি ল্যাব মিলিয়ে ৮০৯টি নমুনা পরীক্ষা করে এসব রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত এখন ১৩ হাজার ১৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নগরেই নয় হাজার ১৭৯ জন এবং চার হাজার ১৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এদিন আরও ৫৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হওয়ায় এই সংখ্যা এখন এক হাজার ৬৭৭ জন। অন্যদিকে, এদিন করোনায় কারও মৃত্যু না হওয়ায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা আগেরদিনের ২২৫-তে স্থির আছে। যাদের মধ্যে ১৫৮ জন নগরের ও ৬৭ জন উপজেলার বাসিন্দা।
বুধবার (২২ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি চারটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাবের মধ্যে পাঁচ ল্যাব মিলিয়ে ৮০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে নগরের ৯১ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৪২ জন। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা থেকে ৫৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং কেউ মারা যাননি। সিভিল সার্জনের রিপোর্টে নগরের সিভাসু ল্যাবে এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে করোনার কোন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় মাত্র ৭ জন। এর মধ্যে ৬ জন নগরের। বাকি ১ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হওয়ার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, যাদের ৩১ জন নগরের ও ২ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয় ৩৩ জন, যাদের ৭ জন নগরের ও ২৬ জন বিভিন্ন উপজেলার।
অন্যদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় দিনের সর্বোচ্চ ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত করা হয়। যাদের ১৬ জন নগরের ও ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার।
গত ২৪ ঘণ্টায় শেভরণ ল্যাবে ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বাধিক ৩৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের ৩১ জন নগরের ও ৭ জন বিভিন্ন উপজেলার।
এদিন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবেও করোনার নমুনা পরীক্ষা হওয়ার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৪২ জনের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে রাউজান উপজেলায়। সেখানে ১৫ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়। এছাড়া ফটিকছড়িতে ১০ জন, হাটহাজারীতে ৮ জন, বাঁশখালী, পটিয়া ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং সাতকানিয়া, আনোয়ারা ও রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এমএহক