চট্টগ্রামের ‘লাকি সেভেন’ এই প্রথম সংসদে

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে থেকে সাত নতুন মুখ যাবেন সংসদে। নৌকা প্রতীকে চারজন ও বতন্ত্র থেকে তিনজন এবার সংসদে যাচ্ছেন। স্বতন্ত্রের তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা। এর মধ্যে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী নৌকা ডুবিয়েই সংসদে যাচ্ছেন।

এই নতুন সাত মুখ হলেন— চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী মাহবুর উর রহমান রুহেল, চট্টগ্রাম- ২ (ফটিকছড়ি) আসনের খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী- চান্দগাঁও) আসনের আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) এমএ মোতালেব এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মুজিবুর রহমান সিআইাপি।

মিরসরাই আসনে প্রথমবারের মতো নৌকার মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর ছেলে মাহবুর উর রহমান রুহেল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান পিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে হারিয়ে সংসদে যাচ্ছেন রুহেল। রুবেল নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ছয় ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।

ফটিকছড়িতেও নানা নাটকীয়তার পর জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। ফটিকছড়ির সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ার কন্যা সনি প্রথমবারেই বাঘা বাঘা প্রার্থীকে টপকে যাচ্ছেন সংসদে। ওই আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন আবু তৈয়ব। সনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরমুজ প্রতীকের তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট।

সীতাকুণ্ড আসন থেকে নৌকার প্রার্থী এস এম আল মামুন হেসেখেলেই জয় পেয়েছেন। মামুন পেয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাংগল প্রতীকের দিদারুল কবির পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৮০ ভোট।

এদিকে পটিয়া থেকে সংসদে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। ফলে সংসদ সদস্য হিসেবে হ্যাট্রিক হচ্ছে না হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর। সংসদে পটিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবে মোতাহের। মোতাহের ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামশুল হক চৌধুরী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের তিন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হতে যাওয়া তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১৫ ও ১৬ আসনে হয়েছে নৌকার ভরাডুবি।

বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনে কেটলি প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুচ ছালাম। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ্য। আওয়ামী লীগ এই আসনটি জাতীয় পার্টির সোলাইমান আলম শেঠকে ছেড়ে দিলেও ছালামের বাধা টপকাতে পারেনি। আবদুচ ছালাম পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজয় কুমার চৌধুরী পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫০০ ভোট।

সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের অধিকাংশ কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা গেছে, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেব পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট। নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মুহামাদ নেজামুদ্দীন নদভী পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট। ফলে চট্টগ্রাম-১৫ আসনও পাচ্ছে নতুন সংসদ সদস্য। এমএ মোতালেব সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

বাঁশখালী আসনে চমক দেখিয়েছে ঈসলের প্রার্থী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি মুজিবুর রহমান সিআইপি। এই আসনে ভোটগ্রহন শেষ হওয়া একটু আগেই নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। মুজিবুর রহমান ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ট্রাক প্রতীকে আব্দুল্লাহ কবির লিটন পেয়েছেন ৩২ হাজার ২২০ ভোট।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!