চট্টগ্রামের মহসিন কলেজে ছাত্রলীগ নেতার মাথা ফাটালো নাঈম-মিজান গ্রুপ

চট্টগ্রাম নগরীর সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দিতে গিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আনোয়ার পলাশ নামের এক ছাত্রনেতা। এই হামলার জন্য কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈমের অনুসারীদের দায়ী করেছেন হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

শনিবার (২৬ মার্চ) সাড়ে ১১টায় কলেজের বিজ্ঞান ভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল ১১টার সময় কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দেন‌। এর ২০ মিনিট পর কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার পলাশ ও মায়মুন উদ্দীন মামুনের অনুসারীরা আলোচনা সভায় প্রবেশ করার সময় কাজী নাঈমের অনুসারীরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় বাধা ডিঙিয়ে আনোয়ার পলাশ ও মামুনের অনুসারীরা অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে চাইলে হামলা করে নাঈমের অনুসারীরা।

আহত আনোয়ার পলাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দিন মামুন বলেন, আলোচনা সভায় প্রবেশ করলে কাজী নাঈম ও মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়। এতে আনোয়ার পলাশ ও তাফহিম সোহেল আহত হন। তারা জাতীয় দিবসগুলোতে বহিরাগত এনে প্রায় সময় এভাবে ন্যাক্কারজনক হামলা করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

কলেজ ছাত্রলীগের আরেক নেতা দোলন বড়ুয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় কাজী নাঈমের অনুসারীরা বাধা দেয়। এ সময় আমরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে হট্টগোল শুরু হয়। তখন পলাশ ভাই দু’পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করছিলেন। এক পর্যায়ে হৃদয় নামে একজন টেবিলের ভাঙা পায়া দিয়ে পলাশ ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। পায়াটিতে পেরেক ছিল, যা উনার মাথায় বিধেছে।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈমের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল কেটে দেন।

মহসিন কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বশর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, স্বাধীনতা দিবসের নিয়মিত কর্মসূচির পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আমরা সভা শেষ করি।

চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজীব পাল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, কলেজ ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষের ৫-৬ জন ছাত্রলীগকর্মী আহত হয়েছেন। সেখানে ফুলের টব ও জানালার কাচ ভাঙচুর হয়েছে। ঘটনার পরপরই আমরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

আরএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!