চট্টগ্রামের ভোটে ‘নির্বাচন কমিশন কন্ট্রাক্ট’— এককলমে ফল বদলে গেল ইভিএমের ভোটে

ওপরমহলের তত্ত্বাবধানে সরাসরি জড়িত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা

ইভিএমের মূল ফলাফল আর প্রার্থীদের দেওয়া ফলাফলে ছিল বিস্তর ব্যবধান। দুই কেন্দ্রে এক প্রার্থীর মূল ফলাফলে ভোটসংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৩০ ও ২৫২। কিন্তু চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে ফলাফল ঘোষণার সময় সেই ভোটের পরিমাণ মুহূর্তেই হয়ে গেল যথাক্রমে ২২০০ ও ১৯৭৫ ভোট!

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থেকে পাওয়া ফলাফল বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। অতীতেও এমনটি ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া না গেলেও চট্টগ্রাম সিটির ভোটকে ঘিরে এই প্রথমবারের মতো জোরালোভাবেই সামনে এল জালিয়াতির নতুন এক ধরন— ‘নির্বাচন কমিশন কন্ট্রাক্ট’। গোপন ‘কন্ট্রাক্টে’ চোখের পলকে বদলে যায় ফলাফলের কাগজ ও ভোটের পরিমাণ।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট গণনা শেষে প্রিন্টেড কপি (যা সরাসরি মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে) সংরক্ষণের নিয়ম রয়েছে, যা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটির ভোটে একাধিক নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে গত দুই দিন ধরে আলাপ করে জানা গেছে, বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ওই প্রিন্টেড কপিটি ছিঁড়ে ফেলে হাতে লেখা ফলাফল জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। হাতে লেখা এই কাগজ ঘিরেই মূল জালিয়াতিটা হয়েছে।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে আসা কয়েকটি নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অন্তত দুটি কেন্দ্রে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী ইভিএমের মূল ফলাফলে পেয়েছেন যথাক্রমে ২৩০ ও ২৫২। অথচ ফলাফল ঘোষণার সময় দেখা গেছে, হাতে লেখা সেই ফলাফল বদলে এককলমেই ভোটের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২০০ ও ১৯৭৫ ভোট।

‘চাপের মুখে’ ফল বদল

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে ভোটগণনা শেষে ভোটের ফলাফল বদলে দেওয়ার চেষ্টার সময় ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের দুই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে হাতেনাতে ধরেও ফেলেন সংরক্ষিত ৪ আসনের প্রার্থী আবিদা আজাদ ও তার সমর্থকরা। ‘চাপের মুখে’ এই কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করে এ সময় তাদের একজন জানিয়েছিলেন, শুধু তার কেন্দ্র নয় ওই একই ভবনে থাকা মোট ৫ কেন্দ্রের ক্ষেত্রেই এটি হয়েছে। এমন ঘটনার পর ওই বিষয়ে কোনো যাচাই বাছাই না করেই সেই সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। শুধু তাই নয় কয়েক দফা যোগাযোগ করেও এই ওয়ার্ডের বাকি ১৮ কেন্দ্রের ফলাফল সংগ্রহ করতে পারেননি আবিদা। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী মহিলা লীগের সদস্য।

শুধু ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডই নয়, বিভিন্ন ওয়ার্ডেই ওপরমহলের নির্দেশে ফলাফল বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে প্রার্থীদের কাছ থেকে। এমনকি চসিক নির্বাচনের একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে জিতিয়ে দেয়ার জন্য ৪০ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগও তুলেছেন ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলীর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোর্শেদ আকতার চৌধুরী।

২৩০ ভোট স্টেডিয়ামে এসেই ২২০০!

এবারের চসিক নির্বাচনে ২৭৮ থেকে ২৮২ পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা না করেই সেখান থেকে চলে যাওয়ার পথে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের পথরোধ করেন স্থানীয় ভোটাররা। এসময় ভোটারদের দাবির মুখেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ফলাফল ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানালে ঘটনাস্থলে আসেন ৯, ১০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত আসন-৪ এর প্রার্থী আবিদা আজাদ। তাকেও ফলাফল দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে সেখানে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোন দেন। এরপর সেই ম্যাজিস্ট্রেট এসে প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে দুটি কেন্দ্রের হাতে লেখা ফলাফল আবিদা আজাদকে দেন। সেসব ফলাফলে দেখা যায় ২৭৮ নম্বর কেন্দ্রে মোট ২৫০০ ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে। সেই ফলাফল অনুযায়ী বই প্রতীকে তাসলিমা বেগম নূরজাহান পেয়েছেন ২২০০ ভোট, অন্যদিকে জিপ গাড়ি প্রতীকের প্রার্থী আবিদা আজাদ পেয়েছেন ২৩০ ভোট। অন্যদিকে ২৭৯ নম্বর কেন্দ্রে দেখানো হয়েছে ২০৯০ ভোট কাস্ট হয়েছে। সেই ফলাফল অনুযায়ী বই প্রতীকে তাসলিমা বেগম নূরজাহান পেয়েছেন ১৯৭৫ ভোট, অন্যদিকে জিপ গাড়ি প্রতীকের প্রার্থী আবিদা আজাদ পেয়েছেন ২০ ভোট।

পরে এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার স্থানে এসে অবস্থান নেন আবিদা আজাদ। এক পর্যায়ে আবিদা আজাদ ও তার সমর্থকদের জেরার মুখে ২৭৮ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আবু তালেব স্বীকার করে নেন যে, চাপের মুখে ফলাফল পরিবর্তন করেছেন তিনি। শুধু তার কেন্দ্রই নয়, ওই ভবনের ৫ কেন্দ্রেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে এ সময় জানান আবু তালেব। এ সময় হাতে লেখা ফলাফল বদলে ইভিএমের মূল ফলাফল জমা দেন পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তালেব। সেখানে দেখা যায় আদতে ভোট সংগ্রহ হয়েছিল ২৪৮টি— যার মধ্যে বই প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছিল ২৩০ ভোট ও জিপগাড়ি পেয়েছিল ১০ ভোট।

চট্টগ্রামের ভোটে ‘নির্বাচন কমিশন কন্ট্রাক্ট’— এককলমে ফল বদলে গেল ইভিএমের ভোটে 1

একইভাবে ২৭৯ নম্বর কেন্দ্রের মূল ফলাফলেও দেখা গেছে সেখানে মোট ভোট কাস্ট হয়েছিল মাত্র ২৫৯টি। তবে আবু তালেব ৫ কেন্দ্রেই এমন জালিয়াতি হয়েছে জানানোর পরেও বাকি কেন্দ্রগুলোর ফলাফল যাচাইবাছাই না করে ওই সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করে দেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।

আবিদা আজাদের দাবি, শুধু সেই ৫ কেন্দ্র নয় বরং ওই ওয়ার্ডের ২০ কেন্দ্রেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে তাকে পরাজিত করা হয়েছে। নির্বাচনের দুই দিন পার হয়ে গেলেও ওই ওয়ার্ডের বাকি ১৮ কেন্দ্রের ফলাফল সংগ্রহ করতে পারেননি আবিদা আজাদ। বাকি দুই ওয়ার্ডে (৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড) এক হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে থাকা আবিদা আজাদ ঘোষিত ফলাফলে ৫ হাজার ৭০০ ভোটে পরাজিত হন।

প্রিন্টেড কপি ছিঁড়ে ‘বেশি ভোট’ লেখা হয় হাতে

এসব কেন্দ্র ছাড়াও এবারের ভোটে অনেক জায়গায় এই কায়দায় মূল ফলাফল বদলে দিয়ে ভুয়া ফলাফল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রিসাইডিং অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন— এমন তথ্য পাওয়া গেছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির সাথে কথা বলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা একজন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বাইরে কী হয়েছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। কিন্তু ইভিএমে শতভাগ সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটার যারা এসেছে, তারাই ভোট দিয়েছে। এখানে কারচুপির কোনো সুযোগ ছিল না। ইভিএম থেকে একটা প্রিন্টেড ফলাফল নেওয়া হয়, যেটা বদলানোর সুযোগ নেই। কিন্তু শেষ পর্যায়ে আমার কাছে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার একটা কল আসে, তিনি আমাকে নির্দেশ দেন সেই প্রিন্টেড কপি ছিঁড়ে ফেলে হাতে লিখে বেশি ভোট দেখাতে।’ সেই নির্দেশ তিনি পালন করেছিলেন কিনা— এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি ওই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

এর মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এক সাবেক কাউন্সিলর সরাসরিই চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন।

চট্টগ্রামের ভোটে ‘নির্বাচন কমিশন কন্ট্রাক্ট’— এককলমে ফল বদলে গেল ইভিএমের ভোটে 2

ইভিএমের এসডি কার্ডে ফল যাচাই নিয়ে লুকোচুরি

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে আরও জানা গেছে ইভিএমের প্রতিটি মেশিনে মেমোরি কার্ডের মতো একটা এসডি কার্ড থাকে— যা নির্বাচন কমিশনকে সংরক্ষণ করতে হয়। সুতরাং এই বিষয়ে কারও অভিযোগ থাকলে তা যাচাইয়ের সুযোগ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তারা এ নিয়ে প্রার্থীদের অনুরোধে কান দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক প্রার্থীই।

কে তারিফুজ্জামান কে জাহিদ— নাম ওঠে আসছে বারবার

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে প্রার্থীদের অভিযোগ কেন আমলে নিচ্ছেন না নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা? কেনইবা প্রার্থীদের নির্বাচনী ফলাফল দেওয়ায় অনাগ্রহ তাদের? দুই দিন চেষ্টা করেও এই প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচনের মাঝপথে ফেসবুক লাইভে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া ১১ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ কাট্টলীর কাউন্সিলর প্রার্থী মোর্শেদ আকতার চৌধুরীর একটি বক্তব্যে গুরুতর কিছু অভিযোগ উঠেছে। ‘নির্বাচনে প্রচুর অনিয়ম হয়েছে’ উল্লেখ করে নিজের ব্যক্তিগত আইডিতে করা ওই ফেসবুক লাইভে সদ্য সাবেক এই কাউন্সিলর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে কী যাব? এ কমিশনকে টাকা দিতে পারিনি বলে আজকে আমার এ পরিণতি হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিক সাহেব তিনি আমার কাছে ৪০ লাখ টাকা চেয়েছেন, এ কাজে তারিফুজ্জামান-হাসানুজ্জামান (রিটার্নিং অফিসার) তারা সবাই সম্পৃক্ত আছে। তারা সকলে টাকাগুলো নিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এদের বিচার হওয়া উচিত। জাহিদ নামের একজন লোক ঢাকা থেকে এসেছেন।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মোর্শেদ আকতার বলেন, ‘সে (জাহিদ) এসবের সাথে সম্পৃক্ত। এ জাহিদ তারিফুজ্জামানের চেম্বারে আমাকে নিতে চাইছিল। কিন্তু আমি বলেছি এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে আমি যাব না। এই জাহিদ ব্যবসায়ী পরিচয় দেন। তার আইডি কার্ডের ছবি আমার কাছে আছে। আমি ডাকাতের ভোটে নির্বাচিত হতে চাই না। আমি জনগণের ভোটে জনগণের কাতারে আছি।’

ফলে এই প্রশ্ন বেশ জোরালোভাবেই উঠছে, তবে কি চসিক নির্বাচনে নির্বাচনী সংস্কৃতিতে নতুন কি সংযোজন হলো ‘নির্বাচন কমিশন কন্ট্রাক্ট’?

এদিকে ভোটের আগের রাতে তারিফুজ্জামান নামে নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা ১০ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের হোসেন সওদাগরও।

নাগালের বাইরে নির্বাচন কর্মকর্তারা

এসব বিষয়ে কথা বলতে ৯, ১০, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা-১ বশির আহমেদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় চট্টগ্রাম প্রতিদিনের পক্ষ থেকে। প্রার্থীদের কেন্দ্রভিত্তক নির্বাচনী ফলাফল সরবরাহে কোন আইনি বিধিনিষেধ আছে কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘না তা কেন হবে? প্রতিটা কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রের বাইরে লাগিয়ে দেওয়ার নিয়ম আছে।’

তাহলে কাউন্সিলর প্রার্থী আবিদা আজাদকে কেন নির্বাচনী ফলাফল সরবরাহ করা হচ্ছে না— এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ‘এসব বিষয়ে আপনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করুন। উনার অনুমতি ছাড়া এসব বিষয়ে আমি কথা বলতে পারি না।’

কিন্তু ওই সব কেন্দ্রে তিনিই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন— এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই বিরক্তি দেখিয়ে ‘ধুর’ শব্দ উচ্চারণ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

অন্যদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানের মোবাইলে কয়েকদফা ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এই সময়ের মধ্যে একবার হাসানুজ্জামানের ফোন ওয়েটিংয়ে (অপেক্ষারত) পাওয়া যায়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!