চট্টগ্রামের নিখোঁজ ১৫ জেলের সন্ধান মিললো মিয়ানমারে, উদ্ধার করল কোস্টগার্ড

বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরতে গিয়ে গত ১৪ দিন ধরে ট্রলারসহ নিখোঁজ চট্টগ্রামের আনোয়ারার ১৫ মাঝি-মাল্লার সন্ধান মিলেছে মিয়ানমারে। ইঞ্জিন বিকল হওয়া ট্রলারসহ নিখোঁজ জেলেরা ভাসতে ভাসতে মিয়ানমার জলসীমায় চলে গেলে তাদের উদ্ধার করে মিয়ানমার নৌবাহিনী।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তর করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনী জেলেদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারসহ জ্বালানি তেল উপহার দেয়। এরপর কোস্টগার্ড জেলেদের ট্রলারসহ সেন্টমার্টিন উপকূলে পৌঁছে দেয়। সেখানে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বর্তমানে সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ড জেটিতে ট্রলারের ইঞ্জিন মেরামতের কাজ করা হচ্ছে।

এসব তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আনোয়ার সাত্তার জানান, জেলেদের ইঞ্জিন বিকল হলে মিয়ানমার নৌবাহিনীর হেফাজত থেকে ১৫ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের একটি ফিশিং ট্রলার সাগরে ভাসমান বিকল বোটটিকে দেখতে পায় এবং বোটটি টেনে মিয়ানমার-বাংলাদেশ জলসীমায় নিয়ে যায়। এরপর বোটের একজন কালু মাঝি বোটের মালিককে ফোনে জানান, তারা মিয়ানমার নৌবাহিনীর হেফাজতে আছেন। এমন তথ্য জানানোর পর আনোয়ারা থেকে বোটের মালিক ওবায়দুল হক ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে ফোন করেন ওইদিন রাত ৮টায়।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল নোবেল দাস কোস্টগার্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডকে বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান । পরে মিয়ানমার-বাংলাদেশ জলসীমায় গিয়ে মিয়ানমার নৌবাহিনীর হেফাজত থেকে ১৫ জেলেসহ বিকল বোটটিকে উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন আনা হয়।

উদ্ধার হওয়া ১৫ জেলে হলেন মো. নুরুজ্জমা ওরফে কালু, আবদুল মন্নান, মহিউদ্দিন, মো. রায়হান, কালু মিয়া, আলী হোসেন, মো. রাশেল, মো. মোরশেদ, মো. বোরহান, আবুল মনসুর, আলী আহমদ, আবদুল হান্নান, জালাল উদ্দিন, আবু ছাদেক, আবদুল করিম। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে।

সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. তাকিউল আহসান বলেন, মিয়ানমার নৌবাহিনীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সাগরে টহলরত কোস্টগার্ডের জাহাজ গিয়ে ট্রলারসহ জেলেদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসে। মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের জলসীমায় ট্রলারটির সন্ধান পায় রোববার সকালে। ওইদিন বিকালে তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় বাংলাদেশি জেলেদের জলসীমায় নিয়ে এসে কোস্টগার্ডকে বুঝিয়ে দেয়। পরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজ ওই ১৫ জেলেকে সেন্টমার্টিন নিয়ে আসে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!