গ্রাহকের এফডিআর আত্মসাৎ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ ২ জনের দণ্ড

প্রতারণা মাধ্যমে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) একটি শাখার গ্রাহকের এফডিআরের অর্থ আত্মসাতের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় দুই জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

এ মামলায় আরও দুইজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট চাঁন্দগাও শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার মো. আসামি ইফতেখারুল কবিরকে ২১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া জরিমানা করা হয় ৭৫ লাখ টাকা। জরিমানা অনাদায়ে আরও নির্ধারিত সাজা ভোগ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

অপর আসামি আজম চৌধুরীকে বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করে ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডসহ ও ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও নির্ধারিত সাজা ভোগ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

এছাড়া এই মামলায় অভিযুক্ত দুইজনকে সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, সামিউল সাহেদ চৌধুরী ও খুলশী থানার ৩ নম্বর লেইনের নিশাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মাহমুদুল হাসান।

দুদকের আদালত পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘রায়ের ঘোষণার সময় পলাতক আসামি আজম চৌধুরী ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’

২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে গ্রাহকের হিসাব থেকে বেনামে হিসাব খুলে অর্থ স্থানান্তর করে ইফতেখারুল কবির।

আসামি ইফতেখারুল ২০১৪ সালের ৩ জুলাই ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ওআরনিজাম রোড শাখায় কর্মরত ছিলেন।

এ মামলার এজাহার দায়েরকারী দুদকের সাবেক উপ সহকারী ও বর্তমান সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বর্তমানে রংপুরে কর্মরত থাকায় তদন্তের দায়িত্ব পালন করছেন একই দপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।

এমএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!