খুলশীতে বাসে আগুন, ৩ ছাত্রদলকর্মী গ্রেপ্তার

আগুন দিলেই করা হবে সহ-সভাপতি, আশ্বাস দেন নেতা

চট্টগ্রামে বিএনপির হরতাল চাঙ্গা রাখতে বাসে আগুন দিতে হবে, আর আগুন দিতে পারলেই তাকে করা হবে ছাত্রদলের থানা কমিটির সহ-সভাপতি—বড় নেতাদের এমন প্রলোভনে বাসে আগুন দিতেন হৃদয়। সর্বশেষ গরিবুল্লাহ শাহ্ মাজার এলাকায় একটি বাসে আগুন দেন তিনি। সেই ঘটনায় বাসের ড্রাইভার ও হেলপার দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন হাসপাতালে।

এই ঘটনায় জড়িত হৃদয়সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগেও তারা পাহাড়তলী এলাকার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি বাসে আগুন দেয়। এছাড়া বাসে আগুন দেওয়ার সময় গ্রেপ্তার একজনের হাত দগ্ধও হয়।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় নগরীর চান্দগাঁও ও খুলশী এলাকাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিন যুবক হলেন হৃদয় (২২), মো. নাজির শরীফ (২১) ও মো. রায়হান (২৪)।

ঘটনার বিষয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) শেখ সাব্বির হোসেন জানান, বিএনপির মিছিলটি রিল্যাক্স পরিবহনের কাউন্টারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হৃদয় তার হাতে থাকা মশাল চালকের আসন লক্ষ্য করে খোলা জানালা দিয়ে ছুঁড়ে মারে। এতে চালক ও হেলপার দগ্ধ হন। একই সময় নাজির ও রায়হান পাথর ছুঁড়ে বাসের সামনের কাঁচ ভাঙচুর করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

সোমবার রাতে খুলশী ও চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন যুবক গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।

গ্রেপ্তারদের বরাতে জানা গেছে, মিছিলে গ্রেপ্তার তিন জনসহ ১০-১২ জন ছিলেন। চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম তুহিনের নির্দেশে খুলশী থানার আহ্বায়ক নুর আলম সোহাগ ঝটিকা মশাল মিছিলের আয়োজন করে। হৃদয়কে সোহাগ আশ্বাস দিয়েছিল, মশাল মিছিল, ভাঙচুর-নাশকতা করতে পারলে তাকে খুলশী থানা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি করা হবে। এজন্য ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হৃদয় তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে মিছিল বের করেছিলেন। ওই সময় বাসে আগুন দিতে গিয়ে হাতে লাগে হৃদয়ের।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!