কিশোরী গণধর্ষণ জুলাইয়ে, অক্টোবরে মামলার দেড় মাস পর গ্রেপ্তার ধর্ষকরা

দেড় মাস আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় অবশেষে চার জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় সীতাকুণ্ডের টেক বাজারপোল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর এই গণধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় প্রথমে ইব্রাহীমকে আটক করে র‍্যাব। ইব্রাহীম সীতাকুণ্ডের মাহমুদাবাদ চৌধুরী পাড়ার মো. দেলোয়ারের ছেলে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ ঘটনায় জড়িত মো. খোকন (২৮), মো. সাগর (২৩) ও মো. মুন্নাকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নিয়াজ মোহাম্মদ চপল।

তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত ৫ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরীর মা বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে ইব্রাহীম নামের এক একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইব্রাহিম স্বীকার করে, সে এবং তার সহযোগীরা বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখিয়ে আটকে রেখে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। গ্রেপ্তার ইব্রাহিমকে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

আটকের একদিন পর আসামীকে গ্রেফতারের কারন প্রসঙ্গে নূরুর আবছার বলেন, ‘অভিযোগ দিলেইতো আর সে অপরাধী হয়ে যায় না। আমার জিজ্ঞাসাবাদ ও পুরো ঘটনা যাচাইবাছাই শেষে ইব্রাহীমকে গ্রেফতার দেখিয়েছি।’

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে নিয়াজ মোহাম্মদ চপল আরও জানান, গত ১৫ জুলাই দুপুরে বাঁশবাড়িয়ার সাগর পাড়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বাড়ককুণ্ডে বান্ধবীর বাড়িতে যায় এক কিশোরী। বান্ধবীসহ বাঁশবাড়িয়া যাওয়ার পথে কয়েকজন যুবক তাদের অনুসরণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটিকে জোরপূর্বক একটি গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় বাকিরা এটি মোবাইলে ধারণ করে। মেয়েটি ভয়ে এ ঘটনা কাউকে জানায়নি। পরে অভিযুক্তরা ভিডিওর কথা বলে মেয়েটিকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে। পরে মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে। এ ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর কিশোরীর মা বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেন।

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!