কাউন্সিলরসহ ছয় জন হাতে ধরে ত্রাণ দিল ১ প্যাকেট, সামাজিক দূরত্ব মুখেই

একজন নারী। তাকে ত্রাণসামগ্রীর একটি প্যাকেট তুলে দেওয়া হচ্ছে। ওই প্যাকেটটি হাতে ধরে আছেন ছয় জন ব্যক্তি। ছয় জনের মধ্যে আছে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিন্টু, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ উদ্দিন মাহমুদও। আবার ওই ছয়জনকে ঘিরে রেখেছেন আরও ১০-১৫ জন।

রোববার (১১ এপ্রিল) সামাজিক দূরত্ব না মেনে জনসমাগম ঘটিয়ে এমন ত্রাণ বিতরণের দৃশ্য দেখা গেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ স্টাফ কলোনীতে।

স্টাফ কলোনীর মসজিদ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে সজল মিয়া নামে এক ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যেখানে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। বাড়িতে অবস্থান করতে প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছে নির্দেশনা। এই দূরত্ব নিশ্চি করতে প্রশাসন, পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও। অথচ সরকারী দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের নির্দেশনা না মেনেই ত্রাণ বিতরণ করলেন চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিল সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু।

এ সময় নগর যুবলীগের সদস্য কাজল প্রিয় বড়ুয়া, আশরাফুল গনি চৌধুরী, মসজিদ কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আবদুর সাত্তার, মহল্লা কমিটির সভাপতি রিপন্দ্র সিং, সুধীর বিকাশ, মোহাম্মদ ইয়াছিন ভুঁইয়া, আলি আজগর, মো. জাকির হোসেন, মো. সেলিম উদ্দিন, মো. সবুজ, মো কাউজার আলম, মো. রাজুউদ্দিন।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর হায়দার মিন্টু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ বিতরণের সময় সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মানতে চাইলেও পারছিনা। বিতরণের সময় পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় দূরত্ব বজায় রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে। গরীব অসহায় মানুষ করোনা বা সামাজিক দূরত্ব বুঝে না। খাবার বিতরণ হচ্ছে দেখে কে আগে নিবে এটাই চিন্তা তাদের। যার ফলে আমাদের এই ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশন থেকে যে সহায়তাগুলো আমি পেয়েছি অসহায় মানুষদের জন্য বিতরণ করেছি। সাথে নিজ অর্থায়নে সবাই যাতে ত্রাণ পায় সেই ব্যবস্থাও গ্রহণ করছি।’

এফএম/আরএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!