রাশিয়ায় একে-৪৭ রাইফেল বিতর্কে এবার হুইপপুত্র শারুন

সামরিক কায়দায় একে-৪৭ রাইফেল থেকে গুলিবর্ষণ করছেন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর পুত্র ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন—এমন একটি ভিডিও ক্লিপ এবার ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ভিডিও নিয়ে আবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন পটিয়ার সংসদ সদস্যের এই ছেলে।

এক মিনিট ৭ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, পুরোপুরি সামরিক কায়দায় একে-৪৭ রাইফেল আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণ করছেন নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালকও মনোনীত হয়েছেন চলতি বছর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই হুইপপুত্রের এমন যুদ্ধংদেহী ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। সেখানে তানভীর আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, ‘ভবিষ্যতে এ ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। তার আগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।’ শাকিল হোসেন অপর একজন লিখেছেন, ‘সরকারের উচিত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।’

তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাশিয়ার মস্কোতে এক স্পেশাল ফোর্স শুটিং রেঞ্জে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন নিজেই এই ভিডিও ধারণ করেছেন। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ভিডিওটি তিনি নিজেই পোস্ট করেছিলেন তার ফেসবুক ওয়ালে।

এর আগে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকিসহ কুরুচিপূর্ণ কথা বলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন পটিয়ার সাংসদ ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। এ ঘটনায় নিরাপত্তা ও আইনি সুরক্ষা চেয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি আবেদনও করেছেন এ ক্রীড়া সংগঠক দিদারুল আলম চৌধুরী।

অভিযোগে দিদারুল আলম চৌধুরী উল্লেখ করেন, তিনি আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সাল থেকে তাকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রাখা হয়। সেই হিসেবে প্রিমিয়ার ব্যাংক জিইসি মোড় শাখায় ‘চট্টগ্রাম আবাহনী ফুটবল কমিটি’ নামে একটি যৌথ হিসাব খোলা হয়। হিসাবের স্বাক্ষরকারী হিসাবে ক্লাবের মহাসচিব শামসুল হক চৌধুরী, ম্যানেজার সাইফুদ্দিনের পাশাপাশি দিদারুল আলমের স্বাক্ষর নেওয়ারও কথা সব ধরনের লেনদেনে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাকে অন্ধকারে রেখে ওই হিসাব থেকে টাকা পয়সা লেনদেন করা হচ্ছিল। সেজন্য দিদারুল এ মাসে অ্যাকাউন্ট বন্ধের আবেদন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সব ধরনের লেনদেন স্থগিত রাখে।

এরপর এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুল হকের ছেলে নাজমুল করিম শারুন গত ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে দিদারুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে বন্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাব খুলে দিতে তিনি চাপ দিতে থাকেন। সেটা না মানলে প্রবীণ এ ক্রীড়া সংগঠককে হুমকি-ধমকিসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন। যার পূর্ণ অডিও রেকর্ড চট্টগ্রাম প্রতিদিনের কাছে সংরক্ষিত আছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!