এখনো স্বাভাবিক হয়নি বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস, বাড়ছে উৎকণ্ঠা

বন্দরের বহির্নোঙ্গরে এখনো পণ্য খালাস স্বাভাবিক হয়নি। গত শুক্রবার ৫ জুলাই শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে থেকে পণ্য খালাস কার্যত বন্ধ রয়েছে। মাঝখানে বৃষ্টি কমায় পণ্য খালাসে লাইটার জাহাজগুলো বহির্নোঙ্গরে যাত্রা শুরু করলেও পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় পণ্য খালাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় লাইটার জাহাজ শ্রমিকরা। টানা আটদিন ধরে পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় উৎকণ্ঠা বাড়ছে।

আমদানিকারক থেকে শুরু করে জাহাজে কর্মরত শ্রমিকদের মাঝে। পণ্য খালাস করে মাদার ভ্যাসেলগুলো (বড় জাহাজ) গন্তব্যে ফেরত যেতে না পারায় বহির্নোঙ্গরে দীর্ঘ হচ্ছে জাহাজের সংখ্যা। চট্টগাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বর্তমানে প্রায় ৫০ জাহাজ অবস্থান করছে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পদক সৈয়দ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, শুক্রবার (৫ জুলাই) থেকে টানা বৃষ্টির কারণে বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস প্রায় রয়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি থামলে পণ্য খালাসের উদ্দেশ্যে জাহাজগুলো নিয়ে যাত্রা শুরুর চিন্তা ভাবনা করলেও পুনরায় বৃষ্টি নামায় ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। গত এক সপ্তাহে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ ভাগ লাইটার জাহাজ পণ্য খালাস করতে পেরেছে বলে দাবি করেন তিনি।

সৈয়দ শাহাদাত হোসেন বলেন, পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে জাহাজ মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে। কাজ না থাকায় জাহাজ মালিকরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবে। এর ঘানি টানতে হবে শ্রমিকদেরও।

চট্টগ্রাম বন্দরের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার (সেসব পণ্য কন্টোইনার ভর্তি নয়)সহ বিভিন্ন পণ্যভর্তি জাহাজ বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অলস বসে আছে পণ্য খালাসের উদ্দেশ্যে। বহির্নোঙ্গরে লাইটার জাহাজ অবস্থান করলেও বৃষ্টির কারণে পণ্য খালাস সম্ভব নয়। অন্যদিকে বৃষ্টি এবং সাগর উত্তাল থাকায় বন্দর থেকেও জাহজাগুলো বহির্নোঙ্গরে যাওয়া সম্ভব নয়। এই অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

বন্দরের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, টানা বর্ষণের কারণে পণ্য খালাস করতে না পারার করণে পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। জাহাজ জট তৈরি হচ্ছে। এই জট সেরে উঠতে বন্দরকে হিমশিম খেতে হবে। অন্যদিকে আমদানিকারকরাও চরম আর্থিক
ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এ কারণে প্রতিদিনই জাহাজের চার্টার ফি বাড়ছে। জাহাজ ভেদে জাহাজের চার্টার ফি ১০-১৫ হাজার ডলার। এই ফি শেষ পর্যন্ত আমদানিকারদেরই বহন করতে হবে।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, এমনিতে এটি (অ্যাডভান্স ট্যাক্স) নীতির কারণে বাজারে পণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী। তার ওপর টানা বৃষ্টির কারণে বহির্নোঙ্গরে পণ্য আটকে থাকায় বাজার পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। বাজারে পণ্যের মুল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যাবে।

এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!