ইয়াবা পাচার ও ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না রোহিঙ্গাদের কারণেই

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে র‌্যাব কমান্ডার

নতুন করে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের কারণে ইয়াবা ব্যবসা ও পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিকে বেশ কয়েকটি ইয়াবা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার মোহাম্মদ আজিম আহমেদ।

রোববার (২৬ জুলাই) সকালে র‌্যাব-১৫ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, গত ১৬ মাসে ইয়াবা মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সবসময় অব্যাহত ছিল। আগামীতেও থাকবে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, ইয়াবা ব্যবসা যে পরিমাণ কমার কথা কমেনি। বরং পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে আরও বেড়েছে। এতে আমাদের প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই আগামী প্রজন্মের স্বার্থে আমাদের সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, মাদক ব্যবসা বাড়ার পেছনে রোহিঙ্গাদের বড় ভুমিকা আছে। এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইয়াবার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে ইয়াবা পাচার বেড়েছে এবং বেশ কিছু জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সেক্টরের কারণেও ইয়াবা ব্যবসা কমছে না।

১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মাদকমুক্ত করার বিষয়ে জেলা পুলিশের ঘোষণায় ঐক্যমত পোষণ করে উইং কমান্ডার আজিম উদ্দিন বলেন, আমরা সব সময় মাদক নির্মূলে কাজ করছি। আগামীতে সবার সাথে সহযোগিতা করে কাজ করতে চাই।

এ সময় সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার কমে আসলেও নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মায়ানমারের সব পথঘাট জানা থাকায় তারা মাদক পাচার করছে উল্লেখ করে সাংবাদিকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার বন্ধ করা, মিয়ানমারের সিম ব্যবহার বন্ধ করা, মাদকের সাথে পৃষ্ঠপোষকতাকারি জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের তালিকা প্রকাশ তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়াসহ মায়ানমার সীমান্তে ইয়াবা কারখানা বন্ধে আর্ন্তজাতিকভাবে কাজ করা এবং গ্রাম পর্যায়ে অভিযান জোরদার করার দাবি তুলেন।

মতবিনিময় সভায় র‌্যাব-১৫ এর মেজর মেহেদী হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার বিধান চন্দ কর্মকারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার এবং উখিয়ার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!