ইএফডিতে ভ্যাট দিয়ে পুরস্কার জিতলেন চট্টগ্রামের দুইজন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঘোষিত ইলেট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস ইএফডি লটারিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরষ্কার জিতেছেন চট্টগ্রামের দুইজন বিজয়ী। জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত লটারিতে তারা বিজয়ী হন।

বিজয়ীরা হলেন- পাঁচলাইশের আশিকুর রহমান এবং সাতকানিয়ার উপজেলার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। পুরস্কার হিসেবে আশিকুর রহমান জিতেছেন ৫০ হাজার টাকা ও মিজানুর রহমান জিতেছেন ২৫ হাজার টাকা।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) কাস্টমস ,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের চেক হস্তান্তর করেন।

এ সময় মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, ইএফডি বিষয়ে ব্যবসায়ী ও ভোক্তার সচেতনতা বাড়াতে নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম। ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি ক্রিকেট সেলিব্রেটি আকরাম খানকে দিয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত বাংলায় ইএফডি এর প্রচারনামূলক পোস্টার এখন চট্টগ্রাম শহরের আনাচে কানাচে দেখা যায়।

তিনি বলেন, ইএফডি চালান ইস্যু করে ব্যবসায়ীরা সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করছেন। জনগণ সচেতন হয়ে ইএফডি চালান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে একদিকে যেমন নিজেদের দেয়া মূসক সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত করছেন, অন্যদিকে লটারি বিজয়ী হয়ে পুরস্কার জিতে নিচ্ছেন।

জানা যায়, প্রতিটি কেনাকাটার পর ইএফডি মেশিন হতে চালান গ্রহণ হলে ক্রেতা কর্তৃক পরিশোধিত ভ্যাট বা মূসক সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হবে। বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ইতোপূর্বে স্থাপিত ৫২০টি মেশিনের পাশাপাশি আরও ৫০০টি মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে।

প্রতিটি ইএফডি মেশিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত রয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদের প্রদত্ত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান নিশ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও ক্রেতাদের ও ভ্যাটদাতাদের উৎসাহিত করতে প্রতি মাসের ৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি বিশেষ লটারির আয়োজন করেছে। এ লটারিতে ১০১টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!