একদিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামে আবারও হাজার ছাড়াল দৈনিক শনাক্ত

টানা চারদিন চট্টগ্রামের করোনা শনাক্তের হাজারের ওপরে থাকার পর আগেরদিন কমে এসেছিল হাজারের নিচে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও সেটি বেড়ে গিয়ে দাঁড়ালো হাজারের ওপেরে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ১১৫ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৭৯৪ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩২১ জন। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। তবে এদিনও করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে নগরে ৮৬ হাজার ৮৭৯ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩২ হাজার ২৪৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ১৩৫৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরে ৭৩০ এবং উপজেলায় ৬২৪ জন।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের ১৫টি ল্যাব এবং কক্সবাজারের ১টি ল্যাব মিলে ৪ হাজার ৬৭ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১১৫ জনের।

ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, বিআইটিআইডিতে ৭৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এন্টিজেন টেস্ট ৩৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শেভরনে ৫৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আরটিআরএলে ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ল্যাব এইডে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, এপিক হেলথ কেয়ার এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ৩২১ জনের মধ্যে সর্বাধিক ৭১ জন রোগীর হদিস মিলে রাউজানে। এছাড়া, হাটহাজারীতে ৬৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৪২ জন, পটিয়ায় ৪০ জন, ফটিকছড়ি ও মিরসরাইয়ে ২২ জন করে, বোয়ালখালীতে ১৮ জন, লোহাগাড়া, সীতাকুণ্ড, বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় ৬ জন করে, আনোয়ারা ও চন্দনাইশে ৫ জন করে এবং সন্দ্বীপে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন কর্ণফুলী উপজেলায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!