অস্ত্রসহ ৯ রোহিঙ্গা ধরা টেকনাফে

কক্সবাজারের টেকনাফে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অস্ত্রসহ ৯ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুলের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি দেশে তৈরি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ, ধারালো কিরিচ, লোহার রড ও গুলতি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।

আটক ৯ রোহিঙ্গা সম্প্রতি কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ‘গোলাগুলি’র ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গত কয়েকদিনের গোলাগুলি ও খুনের ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে কয়েক’শ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কুতুপালং ক্যাম্প ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অঘটন নতুন নয়। এ ধরনের ছোট-বড় ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত দুইদিনে খুন হয়েছে ৩ জন। সর্বশেষ সোমবার (৫ অক্টোবর) কুতুপালং ক্যাম্পে মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৪) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক খুন হয়।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর ভোররাতে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই জন রোহিঙ্গা নিহত হয়। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর একইভাবে সংঘর্ষে ১৫ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা আহত হয়েছিল। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার মুখে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কুতুপালং এলাকা থেকে ছেড়ে চাকমারকুলের পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছিল। কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় গোলাগুলি করেছিল। দুয়েকদিন আগে র‌্যাব তাদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে তারা কুতুপালং ছেড়ে হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুল এলাকার পাহাড়ে অবস্থান নেয়।

গোপন সূত্রে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আমরা ৯ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের কাছ থেকে দেশে তৈরি ৪টি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ, কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!