করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় শিক্ষার্থীদের সেশনজট কমাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষাসমূহ অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনলাইনে পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে নেয়া হবে তা নির্ধারণ করতে ইতোমধ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে মতামত দিতে প্রথম সভায় মিলিত হবেন।
রোববার (২৩ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দেকে আহ্ববায়ক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) সৈয়দ মনোয়ার আলীকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সব অনুষদের ডিন, আইসিটি সেলের পরিচালক ও রেজিস্ট্রারকে সদস্য করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত কমিটির এক সদস্য চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বিভাগের আটকে থাকা অসমাপ্ত পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া। আমরা ২৭ মে সবাই বসবো। প্রথমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের কাছে পরীক্ষার বিষয়ে মতামত চাওয়া হবে। তারা তাদের মতামত অনুষদের ডিনদের জানাবেন। ডিনরা কমিটির সভায় জানাবেন। পরবর্তীতে আমরা একটা পদ্ধতির বিষয় চিন্তা করে তা একাডেমিক কাউন্সিলে প্রেরণ করবে। সেখানে অনুমোদন হলে পরীক্ষা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ২৭ মে প্রথম সভায় বসবেন। তারা কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে এবং সব বিবেচনা করে কমিটি একটি সিদ্ধান্ত দেবেন।’
অনলাইনে পরীক্ষা কি শুধুমাত্র আটকে থাকা বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা নেয়া হবে নাকি অনলাইনে যেসব বিভাগের ক্লাস হয়েছে তাদেরও নেয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আপাতত সব ধরনের পরীক্ষাই অনলাইনে নেয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর বেনু কুমার দে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি এখনো চিঠি হাতে পাইনি। চিঠি হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।’
এমআইটি/এমএহক