অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধস লংগদুতে, ৩ বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে আংশিকভাবে তিনটি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে একটি গরু মারা গিয়েছে।

সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের উত্তর ইয়ারিংছড়ি ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকরা হলেন মো. আমিন হোসেনের ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (৪৩), মো. আমির হোসাইনের ছেলে মো. হুমায়ুন আহমেদ (৩৬), মো. ইয়াকুব আলী ছেলে মো. জালাল হোসেন (৩৫)। তাদের তিনটি বসতবাড়ি পাহাড়ধসে মাটি ভেঙে পড়েছে।

আটরকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ০৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. রুস্তম আলী রুপচাঁন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি, তারা নিরাপদে রয়েছে।’

উত্তর ইয়ারিংছড়ি বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পাহাড়ধস হয়েছে। তবে সেখানে কোনো মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, শুধু তিনটি ঘরের কিছু অংশ ভেঙেছে ও একটি গবাদি পশু মাটিচাপা পড়ে মারা গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উত্তর ইয়ারিংছড়ি বাজার নিয়ে সংশয় রয়েছি। পানি ক্রমেই দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই বাজারের ব্যবসায়ীরা খুব ঝুঁকিতে রয়েছে, বৃষ্টি না কমলে যে কোনো সময় বাজার প্লাবিত হতে পারে।’

লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল উদ্দীন বলেন, ‘পাহাড়ে তলদেশে বসবাসরত সকলকে আমরা নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বলেছি। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা প্রস্তুত আছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকিব ওসমান বলেন, ‘দুর্যোগ পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয় আসার জন্য গতকালও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দিয়েছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে তাদের সহযোগিতা করা হবে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!