প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাংবাদিক-বান্ধব নেত্রী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি সরকারি খাতের বাইরে বেসরকারি পর্যায়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়া উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আজ অনেক টেলিভিশন। অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি সম্পাদকদের মানহানি মামলায় গ্রেফতারের অসম্মান রুখতে সমন জারির আইন করেছেন। এখন সাংবাদিকদের কোমরে দড়ি পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় না। যদিও সাংবাদিকরা আইনের উর্ধে নন। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতা সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। অন্যের বঞ্চনা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা সোচ্চার। সেভাবে নিজেদের ক্ষেত্রে সোচ্চার হতে পারেন না। নবম ওয়েজ বোর্ড চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। শিগগির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হবে। এবারের বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পৃথকভাবে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও কলাকুশলীদের বেতন-ভাতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আইনি ও সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে ওয়েজবোর্ড পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেশের অনেক প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের কথা যখন বলতে পারিনি তখন এ ক্লাব মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সুদৃঢ় অবস্থান ছিল।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আমার ২৭ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে একজন ইকবাল সোবহান চৌধুরীকেই দেখেছি। সাংবাদিকদের সুখে দুঃখে আপনার চেয়ে বেশি কাউকে পাইনি। আপনি না হলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু হল হতো না। আমরা কৃতজ্ঞ।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কবি শুকলাল দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ, সহসভাপতি নিরুপম দাশগুপ্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) কার্যনির্বাহী সদস্য আসিফ সিরাজ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, সদস্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
শুকলাল দাশ বলেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিষ্ঠান। এ ক্লাবেই প্রথম পোড়ামাটির শিল্পকর্মে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ম্যুরালটি উদ্বোধন করেছেন।
চৌধুরী ফরিদ সীতাকুণ্ড ও রাজধানীর উত্তরায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় উদ্বেগ জানিয়ে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের করণীয় সম্পর্কে তথ্য উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জাতীয় প্রেসক্লাবকে সত্যিকারের জাতীয় মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।