৩ জনকে পিষে মারল বোয়ালখালীর সেই হাতির পাল

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কধুরখীল, চরণদ্বীপ ও খরণদ্বীপ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত উল্লাহ।

নিহতরা হলেন চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দ নগর এলাকার জাকের হোসেন (৬৫), কধুরখীল ইউনিয়নের মধ্যম কধুরখীল শরীফ পাড়ার আবু তাহের মিস্ত্রী (৬৫) ও শ্রীপুর-হরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকার আব্দুল মাবুদ (৬০)।

কধুরখীল ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল করিম বলেন, ‘সকালে ৪-৫টি হাতি কধুরখীল তৈয়্যবিয়া তাহেরীয়া সুলতান মোস্তফা কমপ্লেক্সের পূর্বপাশে শরীফ পাড়া এলাকায় শস্যক্ষেতে কাজ করার সময় আবু তাহের মিস্ত্রি হাতির আক্রমণের শিকার হন। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে।’

চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দনগরে হাতির আক্রমণে মারা গেছেন খরণদ্বীপ বিজান বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাকের হোছাইন। তিনি চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দনগর জাকের মাস্টারের বাড়ির আবদুল মোনাফের ছেলে।

নিহতের কন্যা ফাহমিনা আফরোজ তারিন বলেন, ‘সকালে চাঁন্দারহাট জামে মসজিদের পাশে হাতির পাল আমার বাবাকে আক্রমণ করে। হাতির আক্রমণে বাবা গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে থেকে তাকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে হাতির পালটি পাহাড়ের দিকে যাওয়ার পথে শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের আমির পাড়ার আবদুল মাবুদ নামে এক কৃষককে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা বলেন, ‘হাতির আক্রমণে আবদুল মাবুদের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আলী আহমদের ছেলে।’

এর আগে শুক্রবার রাতের কোনো একসময় থেকে বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব কধুরখীল এলাকায় তিনটি বাচ্চাহাতিসহ ঢুকে পড়ে ৯টি হাতির পাল। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা হাতিগুলোকে কৌশলে সরাতে শনিবার থেকে একযোগে কাজও শুরু করে। কিন্তু হাতিগুলো লোকালয় ছেড়ে যায়নি।

হাতির তাণ্ডবে জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান ওসি নেয়ামত উল্লাহ।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!