সাড়ে নয় ইঞ্চি পুরু কার্পেটিং হবে আগ্রাবাদ এক্সেস-পিসি রোডে

নগরীর আগ্রবাদ এক্সেস রোড ও পোর্ট কানেক্টিং রোড দুটিতে তিন ফেইজে প্রায় সাড়ে নয় ইঞ্চি পুরু কার্পেটিং করা হবে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দুটিতে কার্পেটিং লেয়ারের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার (২২ মে)সকালে পোর্ট কানেকটিং রোডের নিমতলা এবং পরে পোর্ট কানেকটিং জংশনে আগ্রাবাদ এক্সেস রোর্ডের কার্পেটিং কাজের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

চসিক সূত্রে জানা যায়,সড়ক দুটির উভয় পাশে আরসিটি ড্রেইন,ওয়াটার মেকাডাম মিক্স ও পাঁচ কালভার্ট নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।জাইকার অর্থায়নে ৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১২০ ফুট প্রস্থ নিমতলা থেকে তাসফিয়া পর্যন্ত, ১০০ কোটি টাকা এবং ২ দশমিক ৩৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১২০ ফুট প্রস্থ বাদামতলী থেকে বড়পুল পর্যন্ত এই আগ্রাবাদ এক্সেস রোড। ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ চলছে।এরমধ্যে হাজীপাড়ার মুখে আরসিসি পার্কিংও রয়েছে।রাস্তার মাঝখানে আড়াই ফুট প্রস্থের ‘মিডিয়ান’ নির্মাণ ও এলইডিতে আলোকায়নের কাজ চলছে।

কার্পেটিং কাজের উদ্বোধনকালে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ‘রোড দুটি উন্নয়নকাজ চলাকালীন এই এলাকার বাসিন্দারা অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন।এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে এ সড়ক দুটি সরাসরি সংযুক্ত। প্রতিদিন প্রায় ১০-১২ হাজার গাড়ি এই সড়ক দুটি দিয়ে চলাচল করে।ব্যস্ততম এই সড়ক দুটির কাজের গুণগত মান বজায় রেখে করা হচ্ছে।গুণগত মান দেখছেন জাইকার বিশেষজ্ঞ দল।’

মেয়র আরো বলেন, ‘আসন্ন ঈদের আগেই পোর্ট কানেকটিং রোডের নিমতলা থেকে তাসফিয়া পর্যন্ত রাস্তার পূর্বাংশ এবং বেপারী পাড়া থেকে এক্সেস রোর্ডের দক্ষিণাংশ মিডিয়ান ব্লকসহ কার্পেটিং লেয়ারের কাজ শতভাগ সম্পন্ন করে যানচলাচলের উপযোগী করা হবে। এ লক্ষ্যে রাস্তা দুটিতে গাড়ি চলাচলের উপযোগী এবং বর্ষার মৌসুমে গণভোগান্তি লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করছে চসিক।’

বক্তব্যে আ জ ম নাছির জানান, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও পোর্ট কানেকটিং রোডকে দৃষ্টিনন্দন রুপে সাজানো হবে।ইতোমধ্যে পিসি রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের নাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয়েছে।যা চসিকের ৪৬তম সাধারণ সভায় পাস হয়েছে। এই সড়ক দুটির কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, নিবার্হী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, অসীম বড়ুয়া প্রমুখ।

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!