সাতকানিয়ার নির্বাচনে যেভাবে এল মোতালেবের জয়
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আবদুল মোতালেব সিআইপি। তিনি পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির আব্দুল গাফফার চৌধুরী পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৮৪ ভোট। সবকটি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মো. শেখ ফরিদ। এর আগে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। তবে বিএনপি প্রার্থী আবদুল গাফফার চৌধুরী নির্বাচনে কারচুপি ও এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ এনে দুপুর ২টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে বই প্রতীকে ৩৮ হাজার ৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালাউদ্দিন হাসান চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ শাজাহান তালা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৯ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলসি প্রতীকে ৪১ হাজার ৫০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনজুমান আরা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রজাপতি প্রতীকে তারান্নুম আয়েশা পেয়েছেন ২২ হাজার ২৩২ ভোট।
উল্লেখ্য, আবদুল মোতালেব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কিষোয়ান ও বনফুল গ্রুপের চেয়ারম্যান।
এর আগে গত ৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশন সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১২ সেপ্টেম্বর। আর ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ও ২২ সে সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন।
এদিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এজেন্টদের মারধর, ভোটারদের বাধা দেওয়া ও জালিয়াতির অভিযোগ করেছে বিএনপি। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুই উপজেলায় চলমান ভোট নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “মহেশপুর ও সাতকানিয়াতে সকাল থেকে ভোট শুরু হলেও সেখানে ভোটারদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। মহেশপুরের প্রত্যেকটি কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদেরকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাঠি-সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আওয়ামী ক্যাডাররা। একই অবস্থা সাতকানিয়াতেও। এই দুই উপজেলায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে পাল্লা দিয়ে পুলিশও ভোটারদের বের করে দিচ্ছে। দুই উপজেলায় ভোটের নামে ভোট জালিয়াতির উৎসব শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে অবহিত করলে তারা ‘দেখছি বলে’ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।”
আলী/সিআর